ভাষণে রাজ্যপাল বলেন, সরকার রাজ্যের সবস্তরের মানুষের উন্নয়নের জন্য নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করছে। সাধারণ মানুষকে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি পূরণ ও ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করেছে।
তিনি বলেন, অপরাধীদের দমনের জন্য সরকার দিল্লি পুলিশের সহায়তায় ত্রিপুরা পুলিশেও ক্রাইম ব্রাঞ্চ চালু করেছে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি চালু করেছে। রাজ্যকে নেশামুক্ত করার জন্য গাঁজা, নিষিদ্ধ কফ সিরাপ, নেশার ট্যাবলেটসহ মাদকবিরোধী অভিযানে জোর দিয়েছে।
কাপ্তান সিং বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করে যেসব অফিস তৈরি করেছিল, তার বেশিরভাগই দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশকে পাশে রেখে ত্রিপুরা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এর অঙ্গ হিসেবে আগরতলা ও বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে রেলপথ স্থাপনের কাজ চলছে। বাংলাদেশ এবং ত্রিপুরা রাজ্যের মধ্যে নৌপরিবহন চালু করার কাজ চলছে। আশুগঞ্জ বন্দর ব্যবহার করে রাজ্যের সব সামগ্রী আসছে। সেসঙ্গে চিটাগাং বন্দর ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়টি উভয় দেশের মধ্যে আলোচনাধীন রয়েছে।
‘এছাড়া পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রসার ঘটানোর জন্য নতুন নতুন স্কুল, কলেজ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান চালু করছে। ’
রাজ্যপালের ভাষণের পর ট্রেজারি ও বিরোধী বেঞ্চের সদস্যদের মধ্যে প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থ দফতরের মন্ত্রী যীষ্ঞু দেববর্মা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/