বর্তমানে কমলাসাগর এবং শ্রীনগর সীমান্ত হাট চালু হয়েছে। কমলপুর এবং পালবস্তি সীমান্ত হাটের নির্মাণ কাজ চলছে।
২০১৮ সালের আগস্ট মাসে ত্রিপুরার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় আরো সাতটি নতুন সীমান্ত হাট স্থাপনের জন্য ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানানো হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এ জায়গাগুলো হলো পশ্চিম জেলার বামুটিয়া, ঊনকোটি জেলার হীরাছড়া, ধলাই জেলার রইস্যাবাড়ী, সিপাহীজলা জেলার বক্সনগর, দক্ষিণ জেলার একিনপুর, আমলিঘাট ও ঋষ্যমুখ।
ভারত-সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পেলে এ ৭টি সীমান্ত হাট চালু করা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভায় বি জে পি বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া এবং বিরোধীদল সি পি আই (এম)-র বিধায়ক ভানু লাল সাহার লিখিত প্রশ্নের উত্তরে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী তথা শিল্প ও বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি আরও জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শ্রীনগর সীমান্ত হাটে ত্রিপুরা রাজ্যের দিক থেকে ৪ কোটি ২৮ লাখ রুপি ও বাংলাদেশের দিক থেকে ৩ কোটি ২৯ লাখ রুপির বাণিজ্য হয়েছে।
অপরদিকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কমলাসাগর সীমান্ত হাটে ত্রিপুরা রাজ্যের দিক থেকে ৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার এবং বাংলাদেশের দিক থেকে ১ কোটি ২১ লাখ রুপির বাণিজ্য হয়েছে।
ভারত এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে উভয়দেশের সীমান্তের জিরো পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে এ হাটগুলো। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট কিছু পণ্য বিক্রি করেন। উভয় দেশের নাগরিকরা তাদের পরিচয়পত্র দেখিয়ে হাটে প্রবেশ করতে এবং পণ্য কিনতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসসিএন/এসএইচ/এমএমএস