সোমবার (২২ জুলাই) এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ বছর প্রথমবারের মত ত্রিপুরা থেকে দুবাইতে আনারস রপ্তানি করা হয়।
এদিন ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট মোটরস্ট্যান্ড থেকে এ আনারসের প্রথম চালানের যাত্রা শুরু হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন- রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী প্রাণজীৎ সিংহরায়, ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব ড. ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু, কৃষি দপ্তরের সচিব এম এল দে, ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ অধিকার বিভাগের সহ-অধিকর্তা ড. দীপক বৈদ্যসহ অন্য কর্মকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রীসহ অন্য অতিথিরা সবুজ পতাকা নেড়ে আনারসের চালানের ট্রাকের যাত্রা শুরু করান।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর কৃষির ওপর অনেক স্লোগান তৈরি হয়। কিন্তু বাস্তবে কিছু হয়নি। নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কৃষি ও স্বচ্ছ ভারতের ডাক দেন। দেশের কৃষকদের আয় দুই গুণ করার জন্য লক্ষ্য নেন, কাজ শুরু করেন। তার ফল দেশের কৃষকরা পেতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ ২০১৮ সালে নতুন সরকারকে কাজের দায়িত্ব দেন। এর পর থেকে রাজ্য সরকার চাষিদের জন্য কাজ শুরু করেছে। রাজ্যে প্রতি বছর ১ লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন আনারস উৎপাদন হয়। কত বড় বাজার আগের সরকার ২৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও এর গুরুত্ব বুঝতে পারেনি।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাজ্যের জাতি ও জনজাতি অংশের বড় অংশের মানুষ আনারস চাষের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আগের সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায়, চাষিরা আনারসের সঠিক মূল্য পেতেন না। নতুন সরকার আসার পর আনারস চাষিদের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন চাষিরা লাভবান হচ্ছে। মাত্র এক বছরে প্রায় ২৫ শতাংশ আনারস চাষির সংখ্যা বেড়েছে। আগামী দেড় বছরে রাজ্যের আনারসের উৎপাদন ৩ লাখ মেট্রিক টনে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে সরাসরি জলপথে যোগাযোগ হলে আরো সস্তায় বিদেশে আনারস পাঠানো যাবে। এ আনারসের সঙ্গে রাজ্যে উৎপাদিত সুগন্ধি লেবু পাঠানো হচ্ছে স্যাম্পল হিসেবে। মুখ্যমন্ত্রীর আশা দুবাই থেকে এ লেবুর অর্ডার আসবে।
আনারসের এ চালানটি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্রাকে করে সড়ক পথে কুমারঘাট থেকে মুম্বাই পর্যন্ত যাবে। এর পর একইভাবে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে ভরে জাহাজে করে সমুদ্র পথে দুবাই পৌঁছাবে।
ত্রিপুরা সরকারের কৃষি দপ্তরের উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ অধিকার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এবার চালানে মোট ১০,০০০টি আনারস যাচ্ছে। এর ওজন ১৭ মেট্রিক টন। পিস প্রতি আনারস চাষি ১৫ রুপি করে পাচ্ছেন।
এবারের চালানটি কিউ প্রজাতির আনারসের। পরবর্তী সময় আরো আনারস রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে। এ বছর বাংলাদেশেও রপ্তানি করা হয়েছে আনারস। গত বছর ত্রিপুরা থেকে প্রথম দুবাইতে আনারস রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/