তবে এরপরও যেসব কেন্দ্রের লাইনে লোক ছিল সেখানে সন্ধ্যার পরও ভোটগ্রহণ করা হয়। রাজ্য নির্বাচন দফতরের সচিব প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশের বেশি।
সর্বমোট ভোট কত শতাংশ পড়েছে তার হিসেব দফতরে আসতে রাত হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
তবে ভোটকে ঘিরে রাজ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ভোটগ্রহন কেন্দ্রেগুলোতে তেমন কোনো ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। রাজধানীর পার্শবর্তী খয়েরপুর, মেখলিপাড়া, পশ্চিম চাম্পামুড়া, দুলুরা ইত্যাদি বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট দিতে আসা সাধারণ ভোটাররা জানান তারা নির্বিঘ্নে তারা ভোট দিয়েছে। ভোট দিতে আসার পথে কোন ধরনের অসুবিধা বা ভয়ভীতি মুখে পড়তে হয়নি।
তবে ভোটকে ঘিরে অভিযোগ রয়েছে বিরোধী কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের। ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা অভিযোগ করেন, শাসক বিজেপি আগে থেকেই বিরোধীদের বাঁধা দিয়ে আসছে।
তবে তিনি এও বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস বামফ্রন্টকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এবার আরো ভালো করবো।
সিপিআই (এম) দলের পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর বলেন, ভোটকে ঘিরে সাধারণ ভোটারদের কোনো উৎসাহ নেই। তাই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা।
ভোটের আগের দিন রাতেও বিভিন্ন এলাকায় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিরোধী দলের সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
শাসক দল বিজেপি-এর মুখপাত্র ডা. অশোক সিনহা বলেন, ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। তারা আশঙ্কা করে ছিলেন বিরোধী দলের তরফে শাসক দলকে কলঙ্কিত করার জন্য ঝামেলা সৃষ্টি করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংবাদের শিরোনামে থাকার জন্য তারা (বিরোধী) এসব অভিযোগ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এসসিএন/এমএ