তিনি বলেছেন, ভারতের জনজাতি গোষ্ঠী শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও অনেক পিছিয়ে। জাতীয় জরিপে দেখা যায়, ভারতে এ জাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার হার সাধারণের তুলনায় কম।
রোববার (২৮ জুলাই) আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভার উদ্বোধনী দিনে মুখ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘ভারতে জনজাতি শিক্ষার বিষয় এবং এক্ষেত্রে প্রতিকূলতা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে আগরতলার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন এডুকেশন। আর এতে সহযোগিতা করছে কলকাতার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান এডুকেশন।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেন, জনজাতি গোষ্ঠীর শিক্ষার বিষয়টি সমাজের নিচু স্তর পর্যন্ত যাতে পৌঁছায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্যোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজরা নিজেদের সুবিধার জন্য ভারতে ইংরেজি ভাষার প্রচলন করে। যেখানে সাধারণ মানুষের ইংরেজি ভাষা বুঝতে অনেক কষ্ট হত, সেখানে জনজাতিরা কী করে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষা নেবে?
‘এছাড়া মানুষের মধ্যে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যেমন- ছেলে-মেয়েদের অর্থ খরচ করে পড়াশোনা করিয়ে কী লাভ হবে? এর চেয়ে তারা কাজে রোজগার করুক- অন্তত সংসার চলবে। তবে এর একটি কারণ হচ্ছে দরিদ্রতা। ’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের শিকার জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ পড়াশোনা থেকে ছেলে-মেয়েদের কাজে লাগিয়ে দেওয়াকেই গুরুত্ব দিত। তবে এই ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য বর্তমান সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতে ৯ কোটির বেশি জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল মানুষের উন্নতির কথা চিন্তা করেই বিজেপি সরকার উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রক গঠন করে। এ অংশের উন্নয়নে গতি আনার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও অ্যাক্ট ইস্ট নীতি গ্রহণ করেছেন।
সভায় মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান এডুকেশনের চেয়ারম্যান সুজীত কুমার ঘোষ, ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আগরতলা শাখার পরিচালক কিরণ শঙ্কর চক্রবর্তী, ত্রিপুরা সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা সাজু ওয়াহিদ, আগরতলার ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন এডুকেশনের অধ্যক্ষ ড. রত্না রায় প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ভারতে শিক্ষার হার ৭৪ শতাংশ। এর মধ্যে জনজাতি অংশের মানুষের শিক্ষার হার ৫৯ শতাংশ। এই ব্যবধান কমানোর জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
এসসিএন/এমএ