শুক্রবার (২ আগস্ট) বিক্ষোভের পাশাপাশি সড়ক অবরোধও করেছেন তারা।
অবরোধের ফলে ঊনকোটি জেলা থেকে রাজ্য ও অন্য রাজ্যে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনে নামা ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরের চালকদের দাবি, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের হুমকি দেন তারা।
এদিন চালকরা ঊনকোটি জেলার প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকে কোনো ধরনের সমাধান না আসায় তারা রাস্তায় নেমেছেন বলে জানান কয়েকজন চালক।
এদিকে ই-রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন চালকরা। আগাম অনুমতি না থাকায় তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের কাছে ই-রিকশা চালকরা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় গতকাল রাতভর মোটরস্ট্যান্ড এলাকাতেই ছিলেন তারা। দেখা হলে সমস্যার সমাধান হবে এ আশা ছিল তাদের। কিন্তু তাদের আশা পূরণ হয়নি।
আগরতলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটারি রিকশা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে ই-রিকশা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজ্যে বাম্যফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন সময়ে ই-রিকশার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিক্রেতারা সাবেক সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনা করেও কোনো সমাধান বের করতে পারেননি। ফলে এখন ঝামেলায় পড়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।
রাজ্যে ৩ হাজারেরও বেশি ই-রিকশা রয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি