রোববার (০৪ আগস্ট) বাংলানিউজকে দেওয়া এক একান্ত স্বাক্ষাতকারে এ তথ্য জানালেন ত্রিপুরা রাজ্যের বড় চা শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্তমান মালিক ও গবেষক শান্তিব্রত চক্রবর্তী।
তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বের পরিবেশবিদসহ সারাদেশে এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ ভূ-উষ্ণায়ন।
তিনি জানান, চা-পাতা উৎপাদনের জন্য তাপমাত্রা একটি বড় ভূমিকা রাখে। ত্রিপুরাসহ আশপাশের রাজ্য ও দেশে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা যদি ১৮ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হলে চা-পাতার ফলনের জন্য সর্বোত্তম। শুধু চা গাছই নয় এই তাপমাত্রায় যেকোনো গাছের সালোকসংশ্লেষণ খুব ভালো হয়। তাপমাত্রার পারদ ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ওপরে গেলে ভালোভাবে সালোকসংশ্লেষন হয় না।
গবেষক শান্তিব্রত চক্রবর্তী জানান, বেশি উষ্ণতায় গাছের পাতার নমনীয়তা বজায় রাখার জন্য পাতার মাধ্যমে গাছ থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যায়। ফলে চা-পাতার নমনীয়তা থাকে না, পাতা শক্ত হয়ে যায়, পাতার স্বাভাবিক গ্রোথ কমে যায়, পাতার রঙেও প্রভাব ফেলে। এমন কী চা-পাতার রঙ উজ্জ্বল সবুজ কিন্তু তাপমাত্রা বাড়লে তা কালচে হয়ে যায়। তাপমাত্রা বেশি বাড়লে চা বাগানের ছায়া দেওয়ার গাছগুলো দিয়ে কোনো কাজ হয় না। ফলে চা পাতার ফলন কমে যায়।
এ বছর ত্রিপুরা রাজ্যে তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। এর জেরে কাঁচা পাতার ফলন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমেছে। ফলন কমায় উৎপাদন খরচ বাড়ে। এর অর্থ হচ্ছে চায়ের দাম বাড়ছে। এই সমস্যা শুধু ত্রিপুরা রাজ্যে নয় গোটা বিশ্বের। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হচ্ছে বিশ্ববাসীকে কার্বন নিঃসরণের ওপর এখনই আমাদের রাস টানতে হবে। আর তা না করলে শুধু চা শিল্প নয় গোটা বিশ্বকে ঠেলে দেওয়া হবে ধ্বংসের দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি