সম্মাননা স্মারক হাতে অঙ্কিতা ভৌমিক। ছবি: বাংলানিউজ
আগরতলা (ত্রিপুরা): আমরা সবাই ডিম খেয়ে খোলসটা ফেলে দেই। কারণ, স্বভাবিকভাবে এটির আর কোনো কাজ থাকার কথা নয়। কিন্তু, ব্যতিক্রম অঙ্কিতা ভৌমিক। তিনি সেসব ফেলে দেওয়া খোলস দিয়ে আকষর্ণীয় গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরি করে সবাইকে শুধু অবাকই করেননি, জিতেছেন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরের পুরস্কার।
সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এর রহস্য জানালেন ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দফতরের কর্মচারী অঙ্কিতা।
থাকেন আগরতলার রামনগর এলাকায়।
তিনি জানান, ছোটবেলাতেই ছবি আঁকা, ঘরের ফেলে দেওয়া সামগ্রী দিয়ে বিভিন্ন গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরির নেশা চেপে বসে তার। তাই অবসর সময়ে রঙ-তুলি, রঙিন কাগজ, আঠা দিয়ে নজরকড়া গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরি করতেন। এর জন্য কোনো প্রশিক্ষণ নেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন টেলিভিশনে একটি অনুষ্ঠান দেখে এ কাজে আগ্রহ জাগে তার। অঙ্কিতা জানান, হঠাৎ একদিন তার মাথায় চেপে বসলো ডিমের খোলস দিয়ে কিছু তৈরি করার। এরপর তিনি নিজেই ডিমের খোলস দিয়ে বিভিন্ন গৃহসজ্জার সামগ্রী তৈরির চেষ্টা শুরু করে দেন। একে একে তিনি ডিমের খোলস দিয়ে তৈরি করেছেন আনারস, উড়োজাহাজ, গিটার, মাছ, মোটরসাইকেল, ক্যামেরা, জাহাজসহ নজরকড়া গৃহসজ্জার সামগ্রী। আরও তৈরি করেছেন ভারতের নাইটিঙ্গেল লতা মঙ্গেশকর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামসহ বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবি। এমনকি একটি ডিমের খোসার ওপর তিনি তৈরি করেছেন একাধিক মহান ব্যক্তিত্বের মুখাবয়ব। এখানেই শেষ নয়, ডিমের খোলস দিয়ে তৈরি করেছেন আস্ত একটা তাজমহল, আবার তার হাতেই তৈরি হয়েছে হালের ভারতের চন্দ্র অভিযানের চিত্র।
কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ হিসেবে চলতি বছরে দুইটি সম্মাননা স্মারক পেয়েছেন তিনি। সেগুলো হলো- ‘বজ্র বিশ্বরেকর্ড সম্মাননা’ ও ‘ইন্ডিয়া স্টার প্রাউড অ্যাওয়ার্ড’।
আগামীতে এ শিল্পকর্ম বাণিজ্যিকীকরণের পরিকল্পনা আছে কি-না? জানতে চাইলে অঙ্কিতা বলেন, আপাতত বাণিজ্যিকীকরণের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। নেহাৎ শখের বসে এ কাজ করছি। তবে এগুলো দিয়ে আগরতলায় একক একটি প্রদর্শনী করার ইচ্ছা আছে। কেউ এ শিল্পকর্ম শিখতে চাইলে অবশ্যই শেখাবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৯
এসসিএন/এএটি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।