ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় মিনি চা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র উদ্ভাবন

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
ত্রিপুরায় মিনি চা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র উদ্ভাবন কাঁচা চা পাতা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): কাঁচা চা পাতা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন ভারত সরকারের চা উন্নয়ন নিগমের সহ-অধিকর্তা দিগন্ত বর্মণ। ক্ষুদ্র চা চাষিদের কথা চিন্তা করে তিনি এ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন।

আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরের বাসিন্দা দিগন্ত বর্মণ দুই বছর আগে ভারত সরকারের চা উন্নয়ন নিগমের আগরতলা আঞ্চলিক অফিসের সহ-অধিকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। তিনি রাজ্যের চা চাষি এবং চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারখানা মালিকদের সহযোগিতা এবং তাদের সমস্যা সমাধানে কাজ করেন।

ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৩ হাজার ক্ষুদ্র চা চাষি রয়েছেন। তারা মূলত বড় চা বাগান মালিক এবং কারখানায় কাঁচা পাতা বিক্রি করেন। কিন্তু এখন বিশ্বের উন্নত দেশসহ সচেতন মহলের মানুষের মধ্যে জৈব পদ্ধতিতে উৎপাদিত ও হাতে তৈরি চায়ের কদর বাড়ছে।

এ বিষয়ে কথা হয় দিগন্ত বর্মণের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রাজ্যের ক্ষুদ্র চা চাষিদের কথা চিন্তা করে মিনি চা প্রক্রিয়াকরণ যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে তারা কাঁচা চা পাতা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারেন। এতে বাগান থেকে তুলে আনা কাঁচা পাতার পানি ড্রায়ারের মাধ্যমে তাপ দিয়ে পাতা শুকানোসহ চা পাতা তৈরির সব কাজ করা যাবে। এছাড়া এ যন্ত্রে পাতায় থাকা পানির আদ্রতা মাপার সব ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এত সব সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যন্ত্রটির দাম খুব বেশি নয়, সর্বোচ্চ ১৫ হাজার রুপি। যন্ত্রটির এক দিকে আদ্রতা দূর করে চা পাতা শুকানোর ইউনিট, অন্য অংশে তিনটি ধাপে চা পাতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। এতে যন্ত্রে কাঁচা পাতা ব্ল্যাক, গ্রিন ও হোয়াইট সব ধরনের চা পাতা তৈরি করা সম্ভব। এ যন্ত্র চাষিদের সমস্যার সমাধান করবে।  ছবি: বাংলানিউজচা উন্নয়ন নিগম এমন যন্ত্র তৈরি করে ব্যবসা করবে না। তাদের কাজ চা গাছ এবং চা পাতার গুণগতমান উন্নয়নে গবেষণা এবং চা চাষে সাধারণ চাষিদের সমস্যা সমাধান করা। তবে কোনো চাষি যদি এ যন্ত্র দিয়ে নিজে চা প্রক্রিয়াকরণ করতে চায়, তবে তারা তৈরির বিষয়ে সহযোগিতা এবং চা পাতা প্রক্রিয়াকরণে প্রশিক্ষণ দেবেন বলে-যোগ করেন দিগন্ত বর্মণ।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, একদিন এ যন্ত্র রাজ্যের চা চাষিদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে। এ যন্ত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগার করতে পারবেন। এ যন্ত্রে দৈনিক ন্যূনতম ২ কেজি চা পাতা উৎপাদন সম্ভব। এ ধরনের হাতে তৈরি চা পাতার প্রকার ভেদে ন্যূনতম ৪ হাজার রুপি থেকে ৪০ হাজার রুপি প্রতি কেজি মূল্যে বিক্রি হয়।

সম্প্রতি দিকম টি অ্যাস্টেট থেকে ‘গোল্ডেন বাটারফ্লাই’ নামে এ চা-পাতা ৭৫ হাজার রুপি দিয়ে নিলামে কিনে গুয়াহাটি চা নিলাম কেন্দ্র (জিটিএসি)।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এসসিএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।