একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এটা পরীক্ষিত যে ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে যে সব আয়ুর্বেদিক ওষুধি গাছ আছে, সেগুলোর মান অনেক ভালো। রাজ্যের কোনো অংশের মাটিতে দূষিত খনিজ আর্সেনিক পাওয়া যায়নি।
ত্রিপুরা, ভারত তথা এশিয়া দেশগুলোর আয়ুর্বেদিক ওষুধি কাঁচামালের বিপুল পরিমাণ চাহিদা রয়েছে ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে। কারণ এসব দেশ জলবায়ু ওষুধি গাছ চাষের উপযুক্ত নয়। তাই ওষুধের কাঁচামালের জন্য তাদের এশিয়ার দেশগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র ত্রিপুরা থেকে প্রায় ১ হাজার কেজি গুলঞ্চ গাছ আমদানিতে আগ্রহী। ত্রিপুরা রাজ্যে গুলঞ্চ থাকলেও রপ্তানি করার মত দক্ষ জনবল নেই। পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক গাছকে সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণ করার মতো ব্যবস্থাও এখনও তৈরি হয়নি।
তবে তার মতে ত্রিপুরাতেও বিপুল পরিমাণে আয়ুর্বেদিক ওষুধি গাছ চাষ হবে এবং বিদেশে রপ্তানি হবে। কারণ রাজ্য সরকারের বন দফতর এ সব ওষুধি গাছ চাষ এবং জঙ্গল থেকে আহরণের নীতিমালা তৈরি করছে। সেইসঙ্গে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই সব ওষুধি গাছ চাষের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন অনেক চাষি রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নানা প্রজাতির আয়ুর্বেদিক ওষুধি গাছের চাষ শুরু করেছেন। তাছাড়া ত্রিপুরা সরকারের বন দফতরের অধীনে আযুর্বেদিক গবেষণার জন্য আয়ুর্বেদ পঞ্চকর্মা এবং ট্রেনিং সেন্টার চালু করেছে।
বর্তমান বিশ্বে যত আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার হয় তার ৬০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করছে। তবে এ চিত্রের দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সব দেশই অর্গানিক সবজি ও আযুর্বেদিক ওষুধের দিকে ঝুঁকছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এসসিএন/ওএইচ/