এতদিন নীতিমালা না থাকায় আগর চাষিরা নিজ জমির গাছ লুকিয়ে কেটে তা অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করত। এই সকল ব্যবসায়ী আগর কাঠ সংগ্রহ করে আসাম রাজ্যের হোজাই এলাকায় নিয়ে যেত।
ত্রিপুরা রাজ্যের নতুন সরকার আগরগাছ বিক্রিকে বৈধতা দিয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিঙ্কু রায়। তিনি বলেন, আগরগাছ বিক্রি সংক্রান্ত কোন নীতিমালা না থাকায় চাষিরা একদিকে যেমন এর সঠিক মূল্য পাচ্ছিলেন না, তেমনি অবৈধ ব্যবসায়ীরাও যেমন খুশি দামে চাষিদের কাছ থেকে কিনে নিত। এছাড়া রাজ্য সরকারও এই খাতের কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল। ফলে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বন দফতর এবং শিল্প উন্নয়ন নিগম মিলে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়, এই রাজ্যে আগরগাছ বিক্রির বৈধতা দেওয়া হবে।
শুধু তাই নয়, আরো কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান টিঙ্কু রায়। যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী আগর কাঠ থেকে তেল বের করার কারখানা করতে চায়, তবে তাকে সরকার অনুমোদন দেবে। এমনকি সরকারের তরফে কারখানা স্থাপনের জন্য ভর্তুকিও দেওয়া হবে। এছাড়া আগরের তেলের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য একটি অত্যাধুনিক ল্যাব স্থাপন করা হবে। এই ল্যাবে রাজ্যের উৎপাদিত আগর তেলের গুণগত মান যাচাই করে গ্রেডের সনদ দেওয়া হবে। এই সনদ অনুসারে আগর তেলের মূল্য নির্ধারিত হবে। তবেই চাষি থেকে শুরু করে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সকলে ন্যায্য মূল্য পাবেন।
টিঙ্কু রায় জানান, আরেকটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ত্রিপুরায় আগর তেল, আতরসহ আগরের তৈরি বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির একটি বাজার তৈরি করা হবে। এখান থেকে রাজ্যবাসীসহ অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটকরা আগর তেলসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, আগষ্ট ২৯, ২০১৯
এসসিএন/এমকেআর