রোববার (১ সেপ্টেম্বর) আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে সচেতনতা অভিযান উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর বের করা হয় শোভাযাত্রা।
‘সড়ক সুরক্ষা-জীবন রক্ষা’ স্লোগানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
আলোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। ২০১৯ সালে এখন পর্যন্ত ৬৭জনের মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়। দুর্ঘটনা কমানো এবং গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পরিবহন ও স্বরাষ্ট্র দপ্তর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নতুন মোটরবাইক কেনার আগে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা এবং পেট্রোল পাম্পে তেল নেওয়ার জন্য হেলমেট থাকা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
‘যে কোনো রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসার পর রাস্তার ও যোগাযোগের উন্নতিতে নজর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ত্রিপুরা রাজ্যে ১০ হাজারের বেশি গ্রামীণ রাস্তা পাকা সড়কে উন্নীত করা হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে এসব এলাকায় রাস্তা উন্নত হওয়ার পর দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে। তাই সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে, পুলিশ, গাড়ি চালক এবং রাস্তার ওপর দোষারোপ করা হয়। কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী খারাপ ভাবে গাড়ি চালনো। এই হার ৮০ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে রাস্তার জন্য। ’
কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রাণজীৎ সিংহ রায়, ত্রিপুরা সড়ক পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান দীপক মজুমদার, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজীৎ সিনহা, ত্রিপুরা পুলিশের কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি