মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বিজয়া দশমী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এ অভিমত প্রকাশ করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
তিনি বলেন, এ উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি, বাংলাদেশের মেঘনা নদী ও ত্রিপুরার গোমতী নদী দিয়ে পণ্যসহ যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রটোকল রুটের চুক্তি, ফেনী নদী থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের একেবারে দক্ষিণের সাব্রুমবাসীর জন্য খাবার পানির সরবরাহ করার চুক্তি ও বাংলাদেশ হয়ে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রান্নার জ্বালানি গ্যাস ত্রিপুরাসহ উত্তর-পূর্ব ভারতে আমদানির চুক্তি।
এ চুক্তির মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেন আরও বাড়বে। যাতে করে উভয় রাষ্ট্রের মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবেন বলে মন্তব্য করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বিজয়া দশমীর আগে নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনার কাছ থেকে এর চেয়ে বড় উপহার আর কি হতে পারে!
পাশাপাশি তিনি জানান, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশ সীমান্তে সাব্রুমে আরও একটি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যে এ প্রথম স্পেশাল ইকোনমিক জোন স্থাপনের জন্য অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। এর জন্য তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রীকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
বিজয়া দশমীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন এসে তাকে বিজয় শুভেচ্ছা জানান।
সাক্ষাতে আসা সবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
ভারতের দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টটি রয়েছে আগরতলা-আখাউড়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। ভারতের সর্বপ্রথম ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ওয়াগা এলাকায়।
এর আগে গত শনিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে নয়াদিল্লির হায়দ্রবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
এসসিএন/এবি/আরবি/