তিনি জানান, বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে হঠাৎ আগরতলা বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অসুস্থ বাদল চৌধুরীকে পশ্চিম আগরতলা থানায় নিয়ে যায়। তখন সাবেক মন্ত্রী উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে পুলিশ তাকে কথা বলতে দেয়নি।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সিপিআইএম’র ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস এর তীব্র নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পুলিশকে দিয়ে অত্যন্ত জঘন্য এবং নিন্দনীয় কাজকর্ম করছে। বাদল চৌধুরী বর্তমানে অসুস্থ। তিনি নিজে একা চলাফেরা করতে পারেন না। এ অবস্থায় তাকে জোর করে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পুলিশ থানায় ধরে নিয়ে গেছে।
এদিকে বাদল চৌধুরীকে থানা হাজতে আটকে রাখার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি অসুস্থ বোধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আগরতলা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতলে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
সাবেক এ মন্ত্রীকে প্রথমে থানায় এবং পরে সরকারি হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন তার দুই আইনজীবী কৌশিক ভট্টাচার্য এবং রঘুনাথ মুখার্জি।
সংবাদমাধ্যমকে কৌশিক ভট্টাচার্য বলেন, অসুস্থ বাদল চৌধুরীকে এভাবে তুলে আনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এমনকি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বাদলকে পুলিশ তুলে আনার সময় তার স্ত্রী বাধা দিতে গেলে নারী পুলিশ সদস্যরা তাকেও শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।
গোটা বিষয়টি নিয়ে তারা ত্রিপুরা হাইকোর্টের কাছে লিখিত আকারে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান কৌশিক।
এদিকে বাদল চৌধুরীকে এভাবে চিকিৎসারত অবস্থায় থানায় তুলে নেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিপিআইএম। সন্ধ্যায় আগরতলা মেলার মাঠ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলে দলের কর্মী-সমর্থকরা তীব্র ভাষায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে অভিযোগ করেন, সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে সাবেক মন্ত্রীর সঙ্গে এ ধরনের অমানবিক আচরণ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসসিএন/এবি/এইচএ/