ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

পশুখাদ্য উৎপাদন-সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা সভা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
পশুখাদ্য উৎপাদন-সংরক্ষণ বিষয়ক আলোচনা সভা

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলায় গবাদি পশুর খাবারের উৎপাদন, সংরক্ষণ এবং সঠিকভাবে এর ব্যবহারের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর এবং ভারত সরকারের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র আইসিএআর’র অধীনস্থ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জান্সি এলাকার ইন্ডিয়ান গ্রাসল্যান্ড অ্যান্ড ফডার রিসার্স ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে হয় এই আলোচনা সভা।

এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী শান্তনা চাকমা।

আলোচনা সভায় সান্তনা চাকমা বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অনেক কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এগুলো সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব নিয়েছে বর্তমান সরকার এবং তা পূরণের চেষ্টা চলছে। ত্রিপুরা রাজ্যকে সমৃদ্ধ করতে হলে পশুপালনের দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ত্রিপুরা রাজ্যে পর্যাপ্ত কৃষি জমি নেই। তাই পশু পালনের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করা সম্ভব। ত্রিপুরা রাজ্যে যে পরিমাণ পশু পালন করা হয় এগুলোর খাদ্য উৎপাদনে রাজ্য স্বনির্ভর নয়। খাবার আনতে হয় অন্য রাজ্য থেকে। এর পেছনে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। খরচ বাঁচাতে পশু খাদ্য উৎপাদনে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্যকে পশুখাদ্য উৎপাদনের দিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত সাবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ত্রিপুরা সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের বিশেষ সচিব শৈলেন্দ সিং, অধিকর্তা ডি কে চাকমা, আইসিএআর’র ত্রিপুরা শাখার অধীকর্তা ড. কে কে বর্মণ, আইসিএআর’র অধীনস্থ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের জান্সি এলাকার ইন্ডিয়ান গ্রাসল্যান্ড অ্যান্ড ফডার রিসার্স ইনস্টিটিউটেরর প্রজেক্ট কোর্ডিনেটর ড. এ কে রায় প্রমুখ।

দুই পর্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার প্রথম পর্যায়ে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন এবং শেষ পর্বে পশুপালন ও পশুখাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত চাষীদের নানা বৈজ্ঞানিক পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।