বুধবার (২৭ নভেম্বর) ভারতের ছাত্র ফেডারেশন (এস এফ আই) ও উপজাতি ছাত্র ইউনিয়ন (টি এস ইউ) এ কর্মসূচি পালন করে।
আগরতলার মেলারমাঠে আয়োজিত এ গণঅবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, বামফ্রন্ট সমর্থিত জনজাতি সংগঠন জি এম পি'র নেতা রাধাচরণ দেববর্মাসহ দুই ছাত্র সংগঠনের নেতা এবং সদস্যরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানিক সরকার বলেন, ভারতের মধ্যে সাক্ষরতার হারে ত্রিপুরা রাজ্য এক সময় প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছিল। এটি সম্ভব হয়েছিল সাবেক বামফ্রন্ট সরকারের একান্ত চেষ্টার কারণে। ত্রিপুরা রাজ্যের এ সাফল্যের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি ত্রিপুরাকে জাতীয় সম্মাননায় ভূষিত করেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সালে ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর সাক্ষরতা অভিযান দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন সরকারের সিদ্ধান্তে বহু স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে।
১৪ দফা দাবির ভিত্তিতে আয়োজিত গণঅবস্থানের কিছু উল্লেখযোগ্য দাবি হল-শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ এবং সাম্প্রদায়িকীকরণ বন্ধ করা, ত্রিপুরা রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের খাবারে বন্ধ হয়ে যাওয়া আমিষ নতুন করে সরবরাহ শুরু করা, ত্রিপুরা রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং কলেজগুলিতে পর্যাপ্ত অধ্যাপক নিয়োগ করা, রাজ্যের ৯৬১টি স্কুল বন্ধ এবং ৮৪০টি স্কুলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
এসসিএন/এবি