সোমবার স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে এই হরতাল কর্মসূচি, তা চলবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
হরতালকে ঘিরে পশ্চিম জেলার খুমলুং খোয়াই জেলা দক্ষিণ জেলা উত্তর জেলা ধলাই ও গোমতী জেলার স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এদিকে হরতালকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাগুলোতে চলছে পুলিশ ও আধা সেনা বাহিনীর টহল।
টিএলএসপি সভাপতি চিত্তরঞ্জন দেববর্মা বাংলানিউজকে জানান, শান্তিপূর্ণভাবে চলছে হরতাল। হরতালের সমর্থনে দলের নেকাকর্মী ও সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করতে দেখা গেছে। স্কুল-কলেজ ও অফিসে গিয়ে হরতালে শামিল হওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন তিনি। তাদের অনুরোধে সাড়া দিয়ে অনেকেই বন্ধ রেখেছেন অফিস কাছারি। সব ধরনের জরুরি পরিষেবাকে হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বললেও জানান দলের সভাপতি। তবে, এদিনের এই হরতালকে ঘিরে এখন পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
ত্রিপুরা উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ এলাকাকে নিয়ে তিপ্রাল্যান্ড নামে আলাদা রাজ্য গঠন করা, সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল প্রত্যাহার করা এবং ত্রিপুরাতে অস্থায়ীভাবে বসবাসরত মিজোরাম থেকে আশা ব্রু জনজাতি অংশের মানুষকে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া। এই তিন দফা দাবিতে সোমবার হরতাল পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
এসসিএন/এএটি