ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

সিএবি প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে সড়ক ও রেল অবরোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
সিএবি প্রত্যাহারের দাবিতে চলছে সড়ক ও রেল অবরোধ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারত সরকার ১০ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল (সিএবি) পাস করিয়ে আইনে পরিণত করতে যাচ্ছে। এই বিল যেন পার্লামেন্টে পাস না করা হয় এই দাবিতে বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) ১২ ঘণ্টার জন্য জাতীয় সড়ক এবং রেলপথ বন্ধের ডাক দিল ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিভিত্তিক দল ইন্ডিজেনাস ন্যাশনালিস্ট পার্টি অব ত্রিপুরা (আইএনপিটি)।

এদিন স্থানীয় সময় সকাল ছয়টা থেকে পশ্চিম জেলা চম্পকনগর এলাকায় ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আইএনপিটির কর্মী-সমর্থকরা। রাজ্যের রাজধানী আগরতলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

আইএনপিটির সভাপতি বিজয় কুমার রাংখল বাংলানিউজকে জানান, তীব্র শীত উপেক্ষা করে দলের কর্মী-সমর্থকরা আগের রাত থেকে এখানে এসে জড়ো হয়েছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই অবরোধে জনজাতিভিত্তিক অন্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সমর্থন জানানো হয়েছে। তারা শুরু থেকেই এই বিলের বিরোধিতা করে আসছেন। যদি এই বিল পাস হয় তবে উত্তর-পূর্ব ভারতের জনজাতিগুলোর অবস্থা আরও সংকটাপন্ন হবে।

তিনি আরও জানান, এমনিতেই জনজাতিদের অস্তিত্ব বিপন্ন। অনেক আগে থেকেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা উত্তর-পূর্ব ভারতে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। এর জেরে জনজাতি অংশের মানুষের জীবন-জীবিকা এবং আর্থসামাজিক অবস্থার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন যদি আবার ধর্মের ভিত্তিতে আইন করে বিদেশ থেকে লোকেদের উত্তর-পূর্ব ভারতে নিয়ে আসা হয় তবে সাধারণ জনজাতি অংশের মানুষের জীবন একেবারে বিপন্ন হয়ে যাবে।

ভারত সরকার যেন উত্তর-পূর্ব ভারতে এই আইন চালু না করে তার জন্য আইএনপিটিসহ জনজাতিভিত্তিক বিভিন্ন আঞ্চলিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং এনজিও এর বিরোধিতা করে আসছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভোটের কথা চিন্তা করে বর্তমান বিজেপি সরকার এই সাম্প্রদায়িক বিল আনার চেষ্টা করছে। এই বিল পাস হলে প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে এক বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষ ভারতে এসে ভিড় করবেন।

জাতীয় সড়কের পাশাপাশি আইএনপিটি সমর্থকরা চম্পকনগরের পাশে ভ্রৃঘুদাসপাড়া এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন। ফলে সকাল থেকেই আগরতলা থেকে ত্রিপুরার ধর্মনগরসহ আসাম এবং ভারতের অন্য রাজ্যের সঙ্গে সংযোগকারী ট্রেনের আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই এদিন ১২ ঘণ্টার জন্য রেল পরিষেবা বন্ধ রাখার আগাম ঘোষণা দিয়েছে।

নর্থ ইস্ট স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সহ-সভাপতি উপেন্দ্র দেববর্মা অবরোধে সমর্থন জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।