রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি ভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিও মিলে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে জনজাতিদের রাজা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মাকে এবং আহ্বায়ক হয়েছেন অ্যান্থনি দেববর্মা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আগরতলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন অ্যান্থনি।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই সিএবির বিরোধিতা করে আসছি। নানা সময় ভারত সরকারের কাছে ত্রিপুরায় যেন এই বিল কার্যকর না হয় তার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু সরকার সংখ্যাধিক্যের জেরে জনগণের মতামত উপেক্ষা করে এই আইন পাস করতে যাচ্ছে।
অ্যান্থনি দেববর্মা বলেন, এমনিতেই ত্রিপুরায় আগে থেকেই প্রচুর অনুপ্রবেশকারী এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। তাই রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ সংখ্যালঘুতে পরিণত হয়েছে। ত্রিপুরায় যদি আরও লোক আসার সুযোগ হয়, তবে রাজ্যের জনজাতি অংশের মানুষ মাইক্রোস্কোপিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হবে। তাই বাধ্য হয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য হরতাল করতে হচ্ছে।
এদিন সব রেলপথ, সড়কপথ, দোকানপাট, অফিস-আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান জানান তিনি। তবে সব জরুরি পরিষেবা হরতালের বাইরে থাকবে।
হরতালে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমস্যা হবে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অ্যান্থনিসহ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত অন্য নেতারা বলেন, আমরা খুশিতে এই হরতালের ডাক দেয়নি। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যই হরতাল ডাকা হয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ভারত সরকারের ওপর নির্ভর করছে হরতালের স্থায়িত্ব। সরকার যদি আলোচনার টেবিলে ডাকে, তাহলে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৯
এসসিএন/একে