ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

হরতালে ত্রিপুরায় জনজীবন বিপর্যস্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯
হরতালে ত্রিপুরায় জনজীবন বিপর্যস্ত

আগরতলা (ত্রিপুরা): পাঁচ দাবিতে ত্রিপুরা রাজ্যের টিটিএডিসি এলাকায় ১২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে জোট সরকারের সহযোগী দল আদিবাসীভিত্তিক ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব তিপ্রা (আইপিএফটি)। 

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়েছে। এদিকে, হরতালে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

দাবিগুলো হলো- উত্তরপূর্ব ভারতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল (সিএবি) চালু না করা, ত্রিপুরা রাজ্যের উপজাতি স্বশাসিত জেলা পরিষদ (টিটিএডিসি) এলাকাকে নিয়ে তিপ্রাল্যান্ড নামে রাজ্য গঠন, ককবরক ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা, প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরাম থেকে জাতি দাঙ্গার কারণে আসা ব্রু জনজাতি অংশের মানুষদের বসবাসের স্থায়ী সমাধান করা ও ত্রিপুরা রাজ্যে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালু করা।  

টিটিএডিসির সদর কার্যালয় খুমলুং যাওয়ার প্রধান সড়কে পশ্চিম জেলার মাধববাড়ী এলাকায়, ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের পশ্চিম জেলার কলাবাগান এলাকাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হরতালের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ চলছে। সেইসঙ্গে স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত, হাট-বাজার বন্ধ করে রেখেছে হরতালকারীরা। পাশাপাশি হরতালের জেরে ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে।
 
এদিকে, সিএবি ত্রিপুরা রাজ্যে চালু না করার দাবিতে অল ত্রিপুরা টাইগারফোর্সের (এটিটিএফ) সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে ত্রিপুরা ইউনাইটেড ইন্ডিজেনাস পিপলস কাউন্সিলের (টিইউআইপিসি) তরফেও এদিন সকাল থেকে ত্রিপুরাব্যাপী ৫০ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়েছে। একই দাবিতে জয়েন্ট মুভমেন্ট এগেইনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যামেনমেন্ট বিল কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজ্যজুড়ে হরতাল ডেকেছে। এটি মূলত ত্রিপুরা রাজ্যের জনজাতিভিত্তিক একাধিক রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও এনজিও মিলিতভাবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তারা এদিন আগরতলার ব্যস্ততম সার্কিট হাউস এলাকায় ভিআইপি সড়ক অবরোধ করে। এর জের ধরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে ভিআইপি সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।  

জয়েন্ট মুভমেন্ট এগেইনস্ট সিটিজেনশিপ অ্যামেনমেন্ট বিল কমিটির আহ্বায়ক দাবি করেন এ নতুন বিল জনজাতি অংশের মানুষের ওপর তীব্র বিরোপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে। এ বিল চালু হলে উত্তরপূর্ব ভারতের জনজাতি অংশের মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। তাই এ বিল যেন উত্তরপূর্ব ভারতকে বাদ দিয়ে করা হয়। আর ভারত সরকার তাদের কথা না শুনলে এ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে তীব্র থেকে তীব্রতর আন্দোলন করবেন।  

হরতালের জেরে তীব্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। মানুষ ঠিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। তবে হরতালের কারণে কোনো হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।