মেলা কমিটির আহ্বায়ক পি এল ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, এই মেলায় মূলত গ্রামীণ মানুষের দ্বারা উৎপাদিত হাতে তৈরি সামগ্রী কী করে বিপণন করা যায় তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এই মেলা আয়োজন করা। গ্রামের মানুষ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করতে পারে কিন্তু এগুলো বিক্রি করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার মতো ভাবনা এবং মানসিক শক্তি অনেকেরই থাকে না।
২২ জানুয়ারি থেকে এই মেলা শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবমিলিয়ে এখানে প্রায় ১৫০টি স্টল রয়েছে। মেলার পাশাপাশি প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
মেলায় গ্রাম বাংলার চিরাচরিত পিঠে পুলি থেকে শুরু করে হাতে তৈরি পুতুল গৃহসজ্জার সামগ্রীসহ ত্রিপুরা রাজ্যের বাঁশের তৈরি গৃহস্থালি এবং গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মেলার মূল আকর্ষণ হচ্ছে গ্রাম বাংলার চিরাচরিত পিঠে পুলি। স্থানীয় মানুষের পাশাপাশি আগরতলাশহরসহ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে যাচ্ছেন পিঠে পুলির টানে।
মেলায় ঘুরতে আসা সঞ্জীব রায় বাংলানিউজকে জানান, তিনি গত দু’বছর ধরে পরিবার নিয়ে এই মেলায় আসছেন। তার এবং তার পরিবারের মূল আকর্ষণ থাকে পিঠে পুলির দিকে। এখানে এক জায়গায় রকমারি পিঠে পাওয়া যায়। যেগুলোর অনেকটাই আগে বাড়িতে তৈরি হতো কিন্তু এখন আর তেমনভাবে তৈরি হয় না। আগে তার দাদী, মা এইসব পিঠে পুলি তৈরি করতে পারলেও নতুন প্রজন্মের অনেকেই এগুলো কীভাবে তৈরি করতে হয় তা জানেন না। ফলে এই মেলায় এলে হারিয়ে যাওয়া পিঠে পুলির স্বাদ পাওয়া সম্ভব হয়।
মেলায় পিঠেপুলি নিয়ে আসা সন্ধ্যা দে, ইতি দেব, পুষ্প দাস’রা পিঠে পুলির দোকান নিয়ে বসেছেন। তারা বাংলানিউজকে জানান, মেলায় আসা মানুষের মধ্যে তাদের তৈরি পিঠে পুলির প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। প্রচুর পরিমাণে পিঠে পুলি মানুষ মেলাতে বসে খান এবং কিনে বাড়িতেও নিয়ে যান। একেকজন প্রতিদিন প্রায় ১ থেকে ২ হাজার রুপির পিঠে পুলি বিক্রি করছেন।
গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে অর্কনীড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি/