১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম স্ট্রবেরির চাষ করা হয়েছিলো ফ্রান্সের ব্রিটানি অঞ্চলে। পরে বিভিন্ন দেশে এ ফলের চাষের প্রবণতা বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, শীতপ্রধান অঞ্চলের ফল হলো স্ট্রবেরি। রাজ্যে এখন শীত মৌসুম তাই এটি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। পাঁচ বছর ধরে এ ফলটি চাষ করা হচ্ছে। এখানে ক্যামেরুসা, নভেলা, সুইচার্লি ও ফেস্টিবেল জাতের চারটি স্ট্রবেরি চাষ করা হচ্ছে। তবে এবার ১২০ বর্গমিটার জমিতে ক্যামেরুসা এবং নভেলা জাতের স্ট্রবেরি চাষ করা হয়েছে। জমিতে প্রায় ৩শটির মতো চারা লাগানো হয়েছে। জমি থেকে প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ গ্রাম স্ট্রবেরি পাওয়া যাবে। তবে এর কিছুটা তারতম্য হতে পারে। বাকি দু’টি জাত আগের বছরেও লাগানো হয়েছিলো।
সুবল দেবনাথ বলেন, আগামী বছর এক হাজার বর্গমিটার জমিতে স্ট্রবেরি চাষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখন স্ট্রবেরি চাষ করা বাণিজ্যিক লাভের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। স্ট্রবেরি চাষ লাভজনক হলে কৃষকদের এটির ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। চাষিরা ফলটি চাষ করলে বেশ লাভবান হবে বলে আশাবাদী তিনি।
তিনি আরও বলেন, গবেষণাগারে টিস্যু কালচারে এই ফলের চারা তৈরির গবেষণা চালানো হচ্ছে। পরে চাষিদের মধ্যে তা বিতরণ করা হবে। এখন স্ট্রবেরির বীজ বর্হি:রাজ্য থেকে এনে এখানে চাষ করা হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে স্ট্রবেরি চারা জমিতে লাগানো হয় এবং দু’মাসের মধ্যে গাছে ফল চলে আসে। মার্চের শেষে ও এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে গাছ থেকে ফল পাওয়া যাবে। স্ট্রবেরির পাকালে লাল টুকটুকে হয়। খুব পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ই, ফলিক এসিড আছে। গন্ধ, বর্ণ ও স্বাদে আকর্ষণীয় এ ফল থেকে রস, জ্যাম, আইসক্রিম, মিল্ক শেক, কেকসহ আরও অনেক খাদ্য তৈরি করা হয়। তবে বর্তমানে বেকারি শিল্পে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে স্ট্রবেরির।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এসসিএন/এএটি