বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আগরতলার নিউ ক্যাপিটাল কমপ্লেক্সের মহাকরণের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন প্রজাতির এ চারা তুলে দেন তিনি। নতুন এ রাবার প্রজাতির নাম আর আর ১১৪২৯।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের মধ্যে রাবার চাষে শীর্ষে থাকা কেরালার পরপরই আছে ত্রিপুরা। বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে বছরে প্রায় এক হাজার চারশ কোটি রুপির রাবার চাষ হয়। নতুন এ প্রজাতির রাবার গাছ থেকে শীতকালেও রাবার উৎপাদন করা যাবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কেরালা রাজ্যে রফতানির জন্য কোচিন সমুদ্র বন্দর আছে কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে কোনো সমুদ্র বন্দর নেই। তবে সেপ্টেম্বরে ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কারণে দ্রুতই ত্রিপুরা চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
আগামী তিন বছরের মধ্যে ত্রিপুরার রাবারের চাষ তিন গুণ করা যায় কিনা, এ বিষয়টি লক্ষ্য রাখার জন্য সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়, রাবার বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরা রাজ্য শাখার ডিরেক্টর ড. সাভার ধানানিয়া, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প দফতরের বিশেষ সচিব কিরণ গিত্যে প্রমুখ।
নতুন প্রজাতির এই রাবার গাছ উত্তর পূর্ব ভারতের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাবার গবেষকরা উদ্ভাবন করেছেন। ফলে একদিকে যেমন এ আবহাওয়াতে অধিক পরিমাণে রাবারের লেটেক্স পাওয়া যাবে। তেমনি সারা বছর ধরে রাবার উৎপাদন করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এসসিএন/এবি