সোমবার (৯ মার্চ) আগরতলার চৌমুহনী এলাকার ওষুধ বিক্রেতা রাজেশ দেব বাংলানিউজকে জানান, রাজ্যে এ মুহূর্তে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের হাহাকার দেখা দিয়েছে। গত দু’দিন আগরতলা শহর মাস্ক ও স্যানিটাইজার শূন্য হয়ে পড়েছিল।
তিনি আরও জানান, যদিও এখনো বাজারে কোনো ধরনের স্যানিটাইজার পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিন শত শত মানুষ মাস্কের জন্য দোকানে ভিড় জমালেও পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক না থাকায় তারা সাধারণ মানুষের চাহিদামতো এগুলো দিতে পারছেন না।
দোকানে দাঁড়িয়ে এ তথ্য নেওয়ার সময় একজন ক্রেতা তার পরিবারের পাঁচ সদস্যদের জন্য মাস্ক কিনে নিয়ে যান। স্যানিটাইজার না থাকায় কিনতে পারেননি তিনি। তাকে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ত্রিপুরা রাজ্যে এখনো করোনা ভাইরাস আক্রান্তের কোনো খবর নেই তারপরও কেন এগুলো নিয়ে যাচ্ছেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্যে করোনা সংক্রমণের কোনো খবর নেই তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে এগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। কারণ কখন কীভাবে কোন ঘটনা ঘটে যায় তাতো বলা যায় না, এজন্যই আগাম সতর্কতা হিসেবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এদিকে ভারতে করোনা সংক্রমণের ঘটনার খবর আষাঢ় পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করেছে আগরতলার এম বি বি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বহিরাজ্য থেকে আশা প্রতিটি যাত্রীকে প্রাথমিক পরীক্ষার পর দায়িত্বরত চিকিৎসকরা যখন নিশ্চিত হন যে যাত্রীরা করোনা আক্রান্ত নন, তখন তাদের টার্মিনাল ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে বলে বাংলানিউজকে জানান টার্মিনাল ম্যানেজার জাম্পু সিংহ।
এদিকে ত্রিপুরা রাজ্যে করোনা ভাইরাস না এলেও সাধারণ মানুষ কিন্তু আগে থেকে বিশেষ সতর্কতা নিয়ে রেখেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
এসসিএন/আরবি/