শুক্রবার (২০ মার্চ) ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এদিন অধিবেশনের সূচনা করা হয়। এরপর ত্রিপুরা রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থ দফতরের মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন।
বাজেট ভাষণে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মোট প্রাপ্তির পরিমাণ প্রায় ১৯৩৮০ দশমিক ১৯ কোটি রুপি ধরা হয়েছে এবং মোট ব্যয়ের পরিমাণ প্রায় ১৯৮৯১ দশমিক ৬০ কোটি রুপি ধরা হয়েছে। বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৫১১ দশমিক ৪১ কোটি রুপি। তবে নতুন করে কোনো কর রাখা হয়নি বাজেটে। ’ তপসিলি জাতি এবং তপসিলি উপজাতি অংশের মানুষের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
এ অর্থবছরের বাজেটে নতুন কিছু প্রকল্প হলো: ত্রিপুরা ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ অভিযান, মুখ্যমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা, মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চিত কর্মসূচি, প্রকল্প তৈরি তহবিল, মুখ্যমন্ত্রী মডেল গ্রাম, কামধেনু প্রকল্প ২, মুখ্যমন্ত্রী পোষণ অভিযান, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের পরিবারের জন্য বিশেষ রেশন কার্ড, ত্রিপুরা স্টেট আওয়ার্ডস স্কিম ইত্যাদি।
পাশাপাশি তিনি জানান, বেসরকারি চাকরির জন্য রাজ্যে ১৯টি চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়েছে। কৃষকদের কল্যাণের জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। জমিতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সেচের ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় যে সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে সেগুলো উন্নত করা হবে।
দীর্ঘ এক ঘণ্টারও বেশি সময়ের এ বাজেট শুনে সরকারপক্ষের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানালেও বিরোধীপক্ষের বিধায়করা চুপচাপ ছিলেন।
বাজেট অধিবেশন চলবে আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত। এ কদিন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে পাশাপাশি বাজেটের ওপর বক্তব্য পেশ করবেন সরকার ও বিরোধীপক্ষের সদস্যরা।
তবে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাস আতঙ্কের বাইরে ছিল না বিধানসভা চত্বর। তাই এদিন বিধানসভা ভবনে প্রবেশের আগে সবাইকে সেনিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করানো হয়। এমনকি মন্ত্রী বিধায়করাও এর বাইরে ছিলেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এসসিএন/এফএম