আগরতলার সামাজিক সংস্থা ফুড ফর অলের সদস্য অনুমিতা পাল বৃহস্পতিবার (০২ এপ্রিল) বাংলানিউজকে জানান, লকডাউনের পর থেকে প্রতিদিন দুপুরে তারা রান্না করা খাবার নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছেন ও খাবার পরিবেশন করছেন। মূলত তারা খিচুড়ি পরিবেশন করছেন।
এদিকে আগরতলা রুটি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ফুটপাতে বসবাস করা মানুষের মধ্যে প্রতিদিন রাতে খাবার বিলি করা হচ্ছে।
রুটি ব্যাংকের সভানেত্রী রুপা রায় দাস বাংলানিউজকে জানান, তারা ভিন্ন ভিন্ন দিন ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় গিয়ে খাবার তুলে দিচ্ছেন।
লকডাউনের ফলে খাদ্য সংকটে পড়েছে রাস্তার কুকুর, বেড়ালও। অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন তারা পড়েছে তীব্র খাদ্য সংকটে। তাদের কথা চিন্তা করে এগিয়ে এসেছে পশাম নামের একটি সংস্থা।
সংস্থাটির সম্পাদক ঋকবেদ দত্ত বাংলানিউজকে জানান, রাস্তার কুকুর, বেড়ালদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে সারা বছর সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করে আমিষ খাবার সরবরাহ করা হতো। কিন্তু লকডাউন হওয়ার পর রাস্তার এসব কুকুর, বেড়াল কঠিন সমস্যার মধ্যে পড়েছে। তাদের কথা চিন্তা করে এই সময় দিনে দুবেলা করে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
লকডাউনের কথা চিন্তা করে ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি/