বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়।
ত্রিপুরা রাজ্য প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে ভারতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
এ অবস্থায় ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগম রাবার চাষিদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে কিনা জানতে চাইলে টিংকু রায় জানান, বিশ্বজুড়ে সব শিল্পে সঙ্কট চলছে। ত্রিপুরা রাজ্যও এর বাইরে নয়। এ রাজ্যে উৎপাদিত প্রাকৃতিক রাবার ভারতের অন্য রাজ্যে রফতানি করা হয়। এর কারণ রাবারের প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানা ও টায়ার শিল্পে কাঁচামাল হিসেবে রাবার শিট ব্যবহার করা হয়। ত্রিপুরা রাজ্যে এ ধরনের শিল্প কারখানা নেই। তাই ত্রিপুরার উৎপাদিত রাবার অন্য রাজ্যে বিক্রি করতে হয়।
লকডাউনের কারণে এসব কারখানা দু মাসের বেশি সময় বন্ধ ছিল। এসময় রাবারের চাহিদাও কমে যায়। ফলে অন্য রাজ্যের রাবার ব্যবসায়ীরা ত্রিপুরা থেকে শিট কেনেননি। এসব কারণে কমে যায় দামও। তবে ধীরে ধীরে শিল্প কারখানাগুলো চালু হচ্ছে। আর কিছুদিন পর পুরো মাত্রায় শিল্প কারখানা চালু হলে রাবার শিটের চাহিদাও বাড়বে। তখন রাবার চাষিরা অনেক বেশি দামে শিট বিক্রি করতে পারবেন।
এ অবস্থায় ত্রিপুরা রাজ্যের রাবার চাষিদের প্রতি তার আহ্বান, তারা যেন রাবার উৎপাদন বন্ধ না করেন। এখন রাবার উৎপাদনের ভরা মৌসুম। এসময় গাছ থেকে রাবার সংগ্রহ করে মজুদ করে রাখলে আগামী দিনে তারা সঠিক মূল্য পাবেন।
পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার বোধজংনগর এবং আর কে নগর শিল্পতালুকে বহিঃরাজ্যের অনেক শিল্পপতি এসে রাবার কারখানা স্থাপন করছেন। বোধজংনগর শিল্পতালুকে রাবার পার্কে জমি ফাঁকা নেই। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা খুব দ্রুত উৎপাদন শুরু করবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কারখানাটি ইতোমধ্যে ১৫ কোটি রুপি খরচ করেছে রাবার কারখানার তৈরির জন্য। তখন রাজ্যের রাবার চাষিদের উৎপাদিত রাবার বিক্রির জন্য বহিঃরাজ্যের ব্যবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
এসসিএন/এফএম