বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত জাম্পুইজলা এলাকায় নবনির্মিত একটি সরকারি অফিস ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা জানান তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের, বিশেষ করে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছার কারণে ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি নৌ-পরিবহনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভাসমান এই অস্থায়ী জেটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এরপর জেটি থেকে মূল রাস্তা পর্যন্ত সংযোগকারী রাস্তা ও আনুষঙ্গিক আর কিছু নির্মাণ কাজ শেষ হলেই সরাসরি নৌ পরিবহন শুরু হয়ে যাবে। এর জন্য খুব দ্রুত গতিতে সব কাজ এগিয়ে চলছে। জুলাই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ত্রিপুরা রাজ্যে জাহাজ চলাচল করবে বলে আশা করছি। ’
বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে নৌ-পরিবহন শুরু হলে পণ্য আমদানি করার জন্য ত্রিপুরাকে আর পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। ইতোমধ্যেই বারানসি থেকে ত্রিপুরা পর্যন্ত প্রটোকল রোডের চুক্তি হয়ে গেছে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে নৌ পরিবহন শুরু হলে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে পণ্য বোঝাই জাহাজ সরাসরি ত্রিপুরা এসে পৌঁছাতে পারবে। এতে করে ত্রিপুরার মানুষ অপেক্ষাকৃত কম দামে নির্মাণ সামগ্রীসহ অন্যান্য পণ্য কিনতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এসসিএন/এইচজে