আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের ঐহিত্যবাহী খার্চিপূজা রোববার (২৮ জুন) থেকে শুরু হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এ বছরও রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী পুরাতন আগরতলা চতুর্দশ দেবতা মন্দিরে হচ্ছে বাৎসরিক এ পূজা। এ বছর কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই পূজার সূচনা করা হয়েছে। তবে এ বছর খার্চিপূজা হলেও আয়োজন করা হয়নি উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনীর।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কথা চিন্তা করে এ বছর শতবর্ষের বেশি সময় ধরে চলে আসা এ খার্চিপূজায় উৎসব, মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেনি।
খার্চি উৎসব কমিটির সভাপতি তথা স্থানীয় বিধায়ক রতন চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এ উৎসব ত্রিপুরার সবচেয়ে প্রাচীনতম উৎসব।
ত্রিপুরায় রাজ্য শাসনকাল থেকে চতুর্দশ দেবতা মন্দির প্রাঙ্গণে এ উৎসব চলে আসছে। এ উৎসবের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এবারই কিছুটা ছেদ পড়েছে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এখানে এ বছর ভিড় করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়নি। মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিশেষ কঠোরতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এ বছর মন্দির চত্বরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাত্র দশজন করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে মন্দিরে ফুল, বেলপাতা বা কোনো ধরনের পূজার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া যাবে না। মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। এমনকি চন্তাই (এ পূজার পুরোহিতকে বলা হয়) এবং তার সহযোগী সব চন্তাইদেরও মুখে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ১০ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক লোকদের মন্দিরে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
প্রতিবছর যেখানে খার্চি মেলায় প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ভিড় করতেন পুরতান আগরতলায়। সেখানে এ বছর দেখা গেছে খার্চি পূজার শুরুর দিন কয়েকজন মানুষ মন্দির চত্বরে রয়েছেন। এ উৎসব চলবে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২০
এসসিএন/আরবি/
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।