আগরতলা (ত্রিপুরা): গত দুই মাস ধরে সবজি ও পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের নাজেহাল অবস্থা। বর্তমানে রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ রুপি।
আগরতলা একাংশ ক্রেতার অভিযোগ সম্প্রতি ভারত সরকার জাতীয় সংসদে বিলে আলু, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মতো সামগ্রীকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ফলে সরকার এগুলোর দামের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এর জেরে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম তাদের ইচ্ছে মতো হাঁকাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের আশঙ্কা আগামীতে এ পণ্যের দাম আরও বাড়বে। এর কারণ হিসেবে তারা বলছেন, যখন বিলটি দেশের রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর আইনে পরিণত হবে।
তবে আগরতলার আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের এ অভিযোগ মানতে নারাজ।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ বিলটি জাতীয় সংসদে পাশ হওয়ার আগে থেকে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়তি। ভারতে সব চেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিক এলাকায়। আর ত্রিপুরায় আলু আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। এ দু’টি রাজ্য প্রবল বন্যার কারণে মজুদ করা বেশির ভাগ গুদামে পানি ঢুকে আলু, পেঁয়াজ পচে গিয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসে নতুন ফসল উঠলে দাম আবার স্বাভাবিক হবে।
একই ভাবে সেপ্টেম্বর মাসের অসময়ের ভারী বৃষ্টিতে ত্রিপুরায় উৎপাদিত সবজিরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর জেরে সব ধরনের সবজির দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে। সবজি ব্যবসায়ীদের দাবি যেসব চাষিরা আগাম শীতকালীন সবজি লাগিয়েছেন বন্যায় তাদের চাষের সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। ফলে এর প্রভাব শীত মৌসুমেও প্রভাব ফেলবে।
শুক্রবার (২ অক্টোবর) ত্রিপুরার বেশকয়েকটি কাঁচাবাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁধা কপি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ রুপি, ফুলকপি ১৬০ থেকে শুরু করে ২৪০ রুপি, বরবটি ১০০ রুপি, শশা ৮০ রুপি, পুঁইশাক ৪০ রুপি প্রতিকেজি, ঢেঁড়স ৮০ রুপি , পেঁপে ৩৫ থেকে ৪০ রুপি, কচুরমুখী ৬০ রুপি লাউ ৫০ থেকে ৭০ রুপি প্রতিটি আকার ভেদে। এছাড়া প্রতিপিস চাল কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ রুপি, ডাটা এক আঁটি ১০ রুপি করে বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ কোনো কাজ করাচ্ছেন না। ফলে ত্রিপুরায় একটি বিশাল অংশের শ্রমজীবী মানুষ কর্মহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এর উপর নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২০
এসসিএন/আরআইএস