ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

মার্চে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালুর লক্ষ্যমাত্রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
মার্চে আগরতলা-আখাউড়া রেলপথ চালুর লক্ষ্যমাত্রা

আগরতলা: আগামী মার্চ মাসের দিকে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আখাউড়ার মধ্যে রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।  

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মহাকরণে নিজ কার্যালয়ে এ কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরার পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনঞ্জিত সিংহ রায়।

এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এখন দিন ও রাত কাজ করছেন শ্রমিকরা।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের চেষ্টায় ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন হতে যাচ্ছে। প্রাথমিক অবস্থায় আগরতলা রেলস্টেশন থেকে বাংলাদেশের আখাউড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত সরাসরি রেলপথ স্থাপন করা হবে। আগরতলা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে বাধারঘাট হয়ে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে এ রেলপথ। ইতোমধ্যে আগরতলা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাট করার কাজ শেষ হয়েছে। আগরতলা রেলস্টেশন থেকে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় রেলওয়ে ট্র্যাক বসানোর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।  

ত্রিপুরা সরকারের পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী প্রনঞ্জিত সিংহ রায় সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বর্তমান সরকার আসার পর বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশে খুব দ্রুত ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে। আগামী মার্চ মাসে আগরতলা থেকে আখাউড়ায় ট্রেন চলাচল করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান তিনি।

ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলাদেশের অংশে দ্রুত গতিতে রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। আগরতলা থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেলপথের মোট দৈর্ঘ্য সাড়ে ১৫ কিলোমিটার। এরমধ্যে ত্রিপুরার দিকে পড়েছে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের অংশে পড়েছে ১০ কিলোমিটার। ভারতীয় অংশের রেলপথ নির্মাণের অর্থ দিচ্ছে ভারতীয় রেল এবং বাংলাদেশের অংশের রেলপথ নির্মাণের অর্থ দিচ্ছে ভারত সরকারের বিদেশমন্ত্রক।

পরিবহন মন্ত্রী প্রনঞ্জিত আরও জানান, শুধু বাংলাদেশের সঙ্গে রেলপথ নয় নৌপথেও খুব দ্রুত নিয়মিতভাবে যোগাযোগ স্থাপন করার কাজ শুরু হবে। বর্তমানে ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ট্রেন পরিষেবা চালু হলে আগরতলা হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন। পাশাপাশি নৌপথেও যোগাযোগ সৃষ্টি হলে সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের অন্যতম একটি হাব হয়ে উঠবে ত্রিপুরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১
এসসিএন/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।