আগরতলা (ত্রিপুরা): প্রতিবছর ত্রিপুরার খোয়াই জেলার অন্তর্গত তেলিয়ামুড়া কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে সরিষা বীজ উৎপাদন করা হয়।
এ বছরও সরিষা বীজের বাম্পার ফলন হয়েছে তাই বিপুল পরিমাণ সরিষা বীজ উৎপাদন হবে এমনটাই আশা করছেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের কর্মকর্তারা।
তেলিয়ামুড়া কৃষি মহাকুমা আধিকারিক ড. সেন্টু আচার্জী বাংলানিউজকে জানান, পিএম-২৭ প্রজাতির সরিষা চাষ করা হচ্ছে। মূলত এগুলো বীজের জন্য চাষ করা হয়। এ প্রজাতির সরিষায় ফলন খুব ভালো হয়। প্রতি হেক্টরে পিএম-২৭ প্রজাতির সরিষা এক হাজার কেজি থেকে ১২শ’ কেজি পর্যন্ত বীজ উৎপাদন হয়। এবছর পিএম-২৭ প্রজাতির সরিষার ফলন খুব ভালো হয়েছে। এ থেকে বিপুল পরিমাণ বীজ পাওয়া যাবে।
তিনি জানান, জমি থেকে বীজ গুলো তুলে নেওয়ার পর এগুলো রাজ্যের বিভিন্ন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরে কার্যালয়ে সরবরাহ করা হবে। এরপর বিভিন্ন মহাকুমার কৃষকদের মধ্যে সরিষার বীজ গুলো চাহিদা অনুসারে বণ্টন করা হবে।
মূলত আমন ধান ক্ষেত থেকে তুলে নেওয়ার পর যে পতিত জমি থাকে তাতে সরিষা চাষ করা হয়।
ইতোমধ্যে সরিষা ক্ষেতে হলুদ রঙের ফুলে ছেয়ে গেছে। আগামী এক মাস পর এগুলো ক্ষেত থেকে তোলা হবে বলেও জানান ড. সেন্টু আচার্জী।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তেলিয়ামুড়া কৃষি মহকুমা কার্যালয়ে সরিষা বীজ উৎপাদন করা হয়েছে। তবে বর্তমান সরকার কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য নানা পরিকল্পনা নিচ্ছে তাই আরও গুরুত্ব সহকারে এ বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে।
খোয়াই জেলা ছাড়াও সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া এলাকায় সরিষা চাষ হয়ে থাকে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় বেশির ভাগ সরিষা বীজ অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
এসসিএন/আরআইএস