ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

আগরতলা-আখাউড়ার রেলপথের নির্মাণ কাজে দ্রুত গতি

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
আগরতলা-আখাউড়ার রেলপথের নির্মাণ কাজে দ্রুত গতি

আগরতলা (ত্রিপুরা): আগরতলা ও আখাউড়া রেলপথ নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য দিন-রাত কাজ চলছে। এ প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটার।

এর মধ্যে ভারতীয় অংশে রয়েছে পাঁচ কিলোমিটার ও বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ১০ কিলোমিটার।  

বাধারঘাটের আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে রেলপথটি বের হয়ে নিশ্চিন্তপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। বাধারঘাট ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার রেললাইন এলিভেটেড কোরিডোর অর্থাৎ ফ্লাইওভার দিয়ে যাবে। এরপর সীমান্ত লাগোয়া নিশ্চিন্তপুরে একটি রেলওয়ে স্টেশন ও কনটেইনার ইয়ার্ড হবে। এজন্য বিশাল পরিমাণ জায়গা জুড়ে নির্মাণ কাজ চলছে। নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাজও অনেকটাই শেষের পথে।

সেই সঙ্গে ট্রেনের জন্য ট্র্যাক বসানো হচ্ছে। ত্রিপুরার দিকে ব্রডগেজে এবং বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে এখনো মিটার গেজে ট্রেন চলছে। এ বিষয়টি চিন্তা করে দুই ধরনের ট্র্যাক বসানো হচ্ছে। অপর দিকে যে অংশ এলিভেটেড করিডোরের ওপর দিয়ে যাবে ওই অংশের কিছু কিছু স্থানে পিলারের কাজ ইতোমধ্যে মাথা তোলে দাঁড়িয়েছে। আর কিছু পিলারের নির্মাণ কাজ চলছে।

ত্রিপুরার অংশের রেলপথ নির্মাণের দায়িত্বে ভারতীয় রেলের নির্মাণ সংস্থা ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কনস্টাকশন কোম্পানি লিমিটেড (ইরকন)। তারা বিভিন্ন বেসরকারি নির্মাণ সংস্থাকে কাজ ভাগ করে দিয়েছে যাতে দ্রুত কাজ শেষ করা যায়।

আন্তর্জাতিক এ রুটের ট্র্যাক বসানোর কাজ পেয়েছে রাজ্যের বাহিরের সংস্থা ইন্ডিয়ান স্টিল কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ওয়েল্ডিং লিমিটেড।

সংস্থার সুপারভাইজার রঞ্জিত কুমার মাহাতো বাংলানিউজকে জানান, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে আগরতলা ও আখাউড়া রেলপথের নির্মাণ কাজ।

কবে নাগাদ শেষ হবে রেলপথের নির্মাণ জানতে চাইলে রঞ্জিত জানান, রেলপথ নির্মাণ কাজটি করছে বিভিন্ন সংস্থা। তাই সঠিক ভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে দেশের সব নাম করা সংস্থা রেলপথের নির্মাণ কাজ করছে। এ প্রকল্পের ভারতীয় অংশের খরচের অর্থ দিচ্ছে রেল মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশে অংশের অর্থ দিচ্ছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।

বর্তমানে ত্রিপুরা থেকে আসাম রাজ্য হয়ে কলকাতা যেতে এক হাজার ৬শ’ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। আগরতলা থেকে কলকাতা ভায়া ঢাকা রেলপথ চালু হলে দূরত্ব হবে ৬০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এতে কলকাতা থেকে ঢাকা পৌঁছাতে অনেক কম লাগবে সময়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।