ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলকভাবে মূল্যবান কড়কনাথ মোরগ পালন

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলকভাবে মূল্যবান কড়কনাথ মোরগ পালন ত্রিপুরায় পরীক্ষামূলকভাবে মূল্যবান কড়কনাথ মোরগ পালন

আগরতলা (ত্রিপুরা): কড়কনাথ প্রজাতির মোরগ নিয়ে বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল খুব বেশি। অনেকের ধারণা কুচকুচে কালো রঙের এই মুরগি স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো।

তাই এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনো আগরতলা ত্রিপুরা রাজ্যে খুব বেশি পরিমাণে এই প্রজাতির মোরগের মাংস পাওয়া যায় না। তাই অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করতে হচ্ছে।

মানুষের উৎসাহ লক্ষ্য করে আগরতলা লেম্বুছড়ার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর এগ্রিকালচার রিসার্চর (আইসিএআর) ত্রিপুরা সেন্টারের পোল্ট্রি ডিভিশন কড়কনাথ মোরগ পরিক্ষামূলকভাবে পালন শুরু করেছে। এই বিভাগের প্রধান ড. বিনয় সিংহ বাংলানিউজকে জানান, কড়কনাথ মোরগের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে এই জাতের মুরগি নিয়ে আসা হয় আইসিএআর আগরতলা সেন্টারে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ইজ্জতনগর এলাকার ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে ডিম আনা হয়। পরে এখানকার হ্যাচারিতে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে তাদের পালন করা হচ্ছে।

পরীক্ষামূলকভাবে পালন করে তারা দেখছেন এই প্রজাতির মোরগের বৃদ্ধি কেমন। বাচ্চা বয়স থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত এদের মৃত্যুর হার কত। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার পর যদি দেখা যায় এই মোরগ ত্রিপুরা রাজ্যের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ভালোভাবে বেড়ে উঠছে এবং ব্যবসায়ীকভাবে লাভজনক তবে এই মোরগ খামার ও সাধারণ মানুষদের দেওয়া হবে পালনের জন্য।

তিনি আরও জানান, নতুন আবহাওয়ায় কোনো প্রজাতির প্রাণিকে পালন করতে হলে নূন্যতম ১৮ মাস নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হয়।

সাধারণ মানুষের ধারণা কড়কনাথ মোরগের মাংস শরীরের পক্ষে উপকারী বিশেষ করে কম কোলেস্টেরলের  জন্য এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদিও এটা পরিক্ষায় প্রমাণিত হয়নি তবে এই প্রজাতির মোরগের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। যেমন এর পালক থেকে শুরু করে ঠোঁট, পা সবকিছু কালো রঙের হয়ে থাকে। এমনকি মাংস ও হাড়ও কালচে হয়। ফাইব্রোমেলোনোসিস নামক জিনের কারণে এদের রঙ কালো হয়ে থাকে। এই জন্য অন্যান্য প্রজাতির মোরগের মাংসের তুলনায় কড়কনাথের মাংসে প্রোটিন বেশি হয়ে থাকে।

আইসিএআর ত্রিপুরা সেন্টার এখনো এই প্রজাতির মোরগের মাংসের দাম নির্ধারণ করেনি তবে এক কেজি কড়কনাথ মুরগির মাংস বারোশ রুপিতে থেকে এক হাজার রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সাবেক ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনিও কড়কনাথ মুরগির বাণিজ্যিক ফার্মিং করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।