ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরার ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
ত্রিপুরার ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য নতুন প্রকল্প

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরাবাসীদের জন্য সরকারের নতুন উপহার মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা। মূলত রাজ্যের ক্ষুদ্র কৃষদের যাতে বাজার থেকে সবজি ও ফলমূল কিনে আনতে না হয় তার জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

এর মাধ্যমে সরাসরি রাজ্যের পাঁচ লাখ পরিবার লাভবান হবেন।  

সম্প্রতি ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনা নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ফল ও সবজি চাষে রাজ্যকে স্বাবলম্বী করা। বিশেষ করে ছোট পরিসরে যারা সবজি ও ফল চাষ করেন তারা লাভবান হবেন। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট পাঁচ লাখ পরিবারকে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজির ১৫টি করে চারা দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত প্রজাতির পেঁপে, লেবু, কলা ও সুপারিসহ সবজির চারা। আগরতলার পার্শবর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্র থেকে ফলের চারাগুলি বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কেন্দ্রের প্রধান উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহ-অধিকর্তা ড. রাজীব ঘোষ। দুই দফায় এই ফলের চারাগুলি বিতরণ করা হবে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে দুই লাখ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে বাকি তিন লাখ পরিবারের মধ্যে চারা বিতরণ করা হবে। এর জন্য নাগিছড়ার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্র ৫০ হাজার পেঁপের চারা করবে। ইতোমধ্যে উন্নত প্রজাতি, বীজ চলে এসেছে এবং বীজ রোপণের কাজ চলছে। পাশাপাশি লেবুগাছের কাটিং বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। কলাগাছের চারা টিস্যু কালাচার ও ম্যাক্র প্রপাগেশন পদ্ধতিতে চারা তৈরি করা হচ্ছে। যাতে সঠিক সময়ে চারাগুলি পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ও বর্ষাকালীন সবজি বিভিন্ন ধরনের বীজের ছোট ছোট প্যাকেট তুলে দেওয়া হবে চাষিদের হাতে।

নাগিছড়ার উদ্যান ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় এই প্রকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য বাগানে কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প সাধারণ মানুষকে আত্মনির্ভর করে তোলার আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও অভিমত বিশেষজ্ঞ মহলের।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২১
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।