ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

এ বছরও হচ্ছে না ত্রিপুরার শতাব্দী প্রাচীন খার্চি উৎসব-মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
এ বছরও হচ্ছে না ত্রিপুরার শতাব্দী প্রাচীন খার্চি উৎসব-মেলা এ বছরও হচ্ছে না ত্রিপুরার শতাব্দী প্রাচীন খার্চি উৎসব-মেলা

আগরতলা (ত্রিপুরা): সমগ্র উত্তর পূর্ব ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এবং দীর্ঘ সময়ব্যাপী মেলা হচ্ছে পুরাতন আগরতলা খার্চি মেলা ও উৎসব। প্রতিবছর সাত দিনব্যাপী চলে মেলা।

সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো এমনকি বিদেশ থেকেও মানুষ এই উৎসব ও মেলাতে অংশ নেন।  

প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষের সমাগম হয়। সারা বছর ধরে মানুষ অপেক্ষা করে খার্চি উৎসব কবে শুরু হবে। এ বছর ১৭ জুলাই থেকে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খার্চি পূজা শুরু হবে।  

করোনা মহামারির কারণে গত বছরও এই ঐতিহ্যবাহী মেলা আয়োজন করা যায়নি। একই কারণে এ বছরও এই মেলা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।

সোমবার (১২ জুলাই) খার্চি মেলা প্রাঙ্গণে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় বিধায়ক রতন চক্রবর্তী।  

তবে ধর্মীয় আচার অনুসারে মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জুলাই এবং এর আগের দিন সন্ধ্যায় গার্ড অব অনার এর মধ্য দিয়ে চতুর্দশ দেবতার স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।  

মেলা অনুষ্ঠিত না হলেও একেবারে অল্প সংখ্যায়, পাঁচজন করে পুণ্যার্থীদের মন্দিরের সামনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে পূজার দিনগুলোতে। তারা প্রণাম জানিয়ে বেরিয়ে আসার পর আরও পাঁচজনকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এভাবে অল্প সংখ্যায় মানুষদের মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।  

মন্দির চত্বরে প্রবেশের আগে পুণ্যার্থীর থার্মাল চেকিংসহ করোনা সংক্রান্ত সব নির্দেশিকা মানা হবে। পুণ্যার্থীদের কোনো ধরনের প্রসাদ দেওয়া হবে না মন্দির থেকে।  

প্রাচীনকাল থেকে এই মন্দির চত্বরে পশু বলির ব্যবস্থা আছে। এ বছর শুধুমাত্র সরকারের দেওয়া পশু বলি হবে। সাধারণ পুণ্যার্থীরা কোনো পশুকে উৎসর্গ করতে পারবেন না। বলি হবে ঘেরা জায়গার মধ্যে পুণ্যার্থীরা এর দৃশ্য দেখতে পারবেন না। এই অবস্থায় বিধায়ক পুণ্যার্থীদের আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেন বাড়ি থেকেই চতুর্দশ দেবতার প্রণাম সেরে নেন এবং মন্দির চত্বরে না আসেন।

আগের বছরগুলোতে ত্রিপুরার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন। কিন্তু এ বছর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হবে না।

মেলা না হলেও পূজা উপলক্ষে অন্যান্য বছরের মতো এবারও চতুর্দশ দেবতার মন্দির প্রাঙ্গণ সাজিয়ে তোলা হচ্ছে সেইসঙ্গে মন্দিরে নতুন করে রং করা হচ্ছে।  

সোমবার বিধায়ক রতন চক্রবর্তী মন্দির চত্বর ঘুরে দেখেন এবং কাজকর্মের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন।  

খার্চি উৎসব ও মেলা হচ্ছে ত্রিপুরার অন্যতম প্রাচীন মেলা। রাজধানী আগরতলা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পুরাতন আগরতলা রয়েছে চতুর্দশ দেবতা বাড়ি মন্দির। এই মন্দির প্রাঙ্গণে উৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হয়। রাজন্য আমল থেকে চলে আসছে এই উৎসব ও মেলা। একসময় ত্রিপুরার রাজধানী ছিল পুরাতন আগরতলায়, তখন শুরু হয় এই মেলা। কিন্তু পরবর্তী সময় রাজধানী বর্তমান আগরতলায় চলে এলে মন্দির থেকে যায় সেই জায়গাতে এবং প্রতিবছর পূজা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।