আগরতলা, (ত্রিপুরা): ভোজনরসিক বাঙালিদের কাছে শীত মানেই পিঠেপুলির আনন্দ। শীতের সকালে বা সন্ধ্যায় জামা গায়ে জড়িয়ে বসে গরম গরম পিঠেপুলি খাওয়ার মজাই আলাদা।
নগরায়নের ফলে শহরের দোকানের নানা ফাস্টফুডে ডুবে থাকা ছেলেমেয়েদের অনেকেই এখন আর গ্রাম-বাংলার নানান সব পিঠেপুলির স্বাদের সঙ্গে পরিচিত নয়। কারণ ব্যস্ত জীবনে অভ্যস্ত মানুষ এখন আর ঘরে সময় নষ্ট করে এসব বানাতে রাজি নয়, তাই ভরসা দোকানের ফাস্টফুড। ফলে নবপ্রজন্ম বঞ্চিত হচ্ছে দিদি ঠাকুমার হাতের পিঠেপুলির স্বাদ থেকে।
![](http://banglanews24.com/public/userfiles/images/11-11-2021-photo-AAT/13-11-21-AyT/15-11-21-aat/17-11-21-AAT/20-11-21-aat/23-11-2021-AAT/25-11-21-aat/25-09-2021%20AAT-1/Vapa-pitha-1.png)
![](http://banglanews24.com/public/userfiles/images/11-11-2021-photo-AAT/13-11-21-AyT/15-11-21-aat/17-11-21-AAT/20-11-21-aat/23-11-2021-AAT/25-11-21-aat/25-09-2021%20AAT-1/Vapa-pitha-2.png)
অনেকে জায়গায় দাঁড়িয়ে চটপট মুখে পুরে চেকে নেন হারানো স্বাদের খাবার। অনেকে আবার পার্সেল করে পা বাড়ান বাড়ির উদ্দেশ্যে। এভাবেই নিজের অজান্তে পেটের তাগিদে বাঙালির ঐতিহ্য এখনো ধরে রেখেছেন জয়া শিপ্রা রেখারা। রাজধানীর পোস্টঅফিস চৌমুহনীতে বসে ভাপা পিঠা বিক্রি করেছেন জয়া সেন নামে মধ্যবয়সী এক নারী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে শীতের মৌসুমে এখানে বসে ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন। প্রথম কয়েক বছর তিনি পাঁচ রুপি করে একটি ভাপা পিঠা বিক্রি করতেন। এখন একটি ভাপা পিঠা ১০ রুপি করে বিক্রি করছেন। বিক্রি বেশ ভালোই হয়, প্রতিদিন ৫শ রুপি থেকে থেকে ৭শ রুপির পিঠা বিক্রি হয়।
খানিকটা এগিয়ে দেখা গেল দুই নারী বসে ভাপা পিঠা বিক্রি করছেন। রেখা পাল নামে পিঠাবিক্রেতা জানান, তিনি ভাপাপিঠার পাশাপাশি পাটিসাপ্টও বিক্রি করেন। এরমধ্যে কোনটির চাহিদা বেশি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাপা পিঠার কারণ পাটিসাপ্টা বাড়ি থেকে বানিয়ে আনতে হয় আর জায়গায় দাঁড়িয়ে গরমাগরম ভাপা পিঠা তৈরি করে দেন। তাই ক্রেতারা গরম ভাপা পিঠা খেতে বেশ পছন্দ করেন। এখন আগরতলার কিছু কিছু মিষ্টির দোকানও মালপোয়া, তালসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে থাকে। তবে ভাপা পিঠা এখন পর্যন্ত ফুটপাতে বসে তৈরি করতে দেখা যায়। তাদের হাত ধরে হয়তো বাঙালিরা শীতের আমেজ উপভোগ করেন বছরের পর বছর।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এসসিএন/এএটি