ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বিশালগড়ের চাষিরা

সুদীপ নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২২
সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বিশালগড়ের চাষিরা

আগরতলা (ত্রিপুরা): সরিষা চাষে নজির গড়েছেন ত্রিপুরার সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত বিশালগড়ের নবীনগর এলাকার কিছু চাষি। এই এলাকার প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ জন চাষি কয়েক বছর ধরে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সরিষা চাষ করে আসছেন।

এতে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা।

কথা হলে স্থানীয় চাষি বজলু মিঞা বাংলানিউজকে জানান, সরিষা চাষ করে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি আয় করছেন তারা। কারণ একদিকে যেমন সরিষার ফলন ভালো হয় তেমনি অনেক বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়। এ ফসলে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছরই নতুন নতুন চাষিরা সরিষা চাষে যুক্ত হচ্ছেন।

তবে গত ডিসেম্বর মাসের বৃষ্টির কারণে তাদের ফসলের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, না হলে ফলন আরও ভালো হতো।

রাজ্যে যেখানে চাষিরা শাকসবজি চাষে বেশি আগ্রহী সেখানে আপনারা হঠাৎ করে সরিষা চাষ শুরু করলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে চাষি বজলু মিঞা বলেন, অনেক বছর ধরে এখানে অল্প পরিমাণে সরিষা চাষ হতো, মূলত চাষিরা তাদের নিজেদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য সরিষা চাষ করতেন। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে সরিষা চাষের জন্য সার, উন্নত জাতের বীজ ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের কৃষি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, তাই আমরা এ ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছি এবং অনেক বেশি লাভবান হচ্ছি।

তারা মূলত নভেম্বর ডিসেম্বর মাস নাগাদ জমিতে বীজ বপন করেন। বীজ বপনের  তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারেন।

বেশ কয়েকজন চাষি জানান, গাছ লাগানোর পর তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন হয় না, ফলে চাষের খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। ফসল কাটার পর কৃষি দপ্তর বীজের জন্য তাদের কাছ থেকে সরিষা কিনে নেয়, বাকিটা বাজারে বিক্রি করেন। এ বছর চাষের সরিষাগুলো থেকে তেল বের করে বিক্রি করছেন। যেহেতু তাদের উৎপাদিত তেলে কোনো ধরনের ভেজাল থাকে না, তাই ক্রেতারা খুব আগ্রহ সহকারে এই তেল নিয়ে যান, এমনকি অনেকে আগে থেকে বলে রাখেন কার কতটুকু তেল লাগবে।

সব মিলিয়ে কৃষকরা সরিষা চাষ করে অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন। এই কাজে কৃষকদের সাহায্য করার জন্য রাজ্য সরকারের কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় বিশালগড় কৃষি আঞ্চলিক আধিকারিকের কার্যালয়ের সেক্টর অফিসার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর দেবব্রত পাল বাংলানিউজকে বলেন, চলতি বছর এই এলাকার প্রায় ১৩ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে, এখান থেকে প্রায় ১২০ কন্টাই সরিষা উৎপাদিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাষিদের উচ্চ ফলনশীল পিএম- ২৭, ২৮, ৩০, ৩২ এবং এন- ৯ জাতের বীজ সরবরাহ করে থাকি। কৃষি এবং কৃষক কল্যাণ দপ্তরের তরফ থেকে তাদের (কৃষক) বিনামূল্যে বীজ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২২
এসসিএন/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।