ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

আগরতলা

২০২৩ সালে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস: অভিষেক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
২০২৩ সালে ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূল কংগ্রেস: অভিষেক

আগরতলা, (ত্রিপুরা): গত ২৫ বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে বামফ্রন্ট যে পরিমাণ সন্ত্রাস করেছে তা গত চার বছরে ছাড়িয়ে গিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেস দলের কর্মীদেরকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে।

বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা রেখে তৃণমূল কংগ্রেস দল আইনি লড়াই করছে। একইভাবে তৃণমূল কংগ্রেস দল প্রথম দিন থেকে রাজ্যের আক্রান্ত মানুষের পাশে রয়েছে রাস্তায় নেমে এর বিরোধিতা করছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলের এই লড়াইয়ের যদি সাধারণ মানুষ পাশে না থাকে তাহলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে না।  

সোমবার (২০ জুন) আগরতলায় হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ মন্তব্য করেন তৃণমূল কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  

মানুষ বহু আশা করে ২৫ বছরের বামফ্রন্টকে সরিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় এনেছিল, কিন্তু বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার একটিও পূরণ করেনি। গ্রামীণ এলাকার তো বেহাল অবস্থায় রয়েছে। আগরতলা শহরেও এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে ডুবে যায়। আগরতলা শহরকে স্মার্ট সিটিতে উন্নীত করার জন্য প্রায় আড়াইশো কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে গত ৫ বছরে, কিন্তু এই অর্থ কোথায় গেল, বলেও প্রশ্ন করেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে উত্তর-পূর্বের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক সন্ত্রাস হয়ে থাকে। এ রাজ্যের ১৮ শতাংশ মানুষ বেকার। রাজ্যের অবস্থার উন্নতি করতে হলে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বলেও তার দাবি।

বিজেপিক হারানোর জন্য তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান রাখেন ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের জন্য। ফেসবুক এবং টুইটারের মাধ্যমে রাজনীতি করা নয় তৃণমূল মাঠে থেকে মানুষদের রেখে নৈতিক লড়াই করে তৃণমূল কংগ্রেস দল।  

তৃণমূল কংগ্রেস দলের যোগদান করার অভিযোগে বাচ্চা ছেলেকে পিটিয়ে খুন করার মত নির্মম অপরাধ করছে শাসক দল।

উপ-নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস দলের প্রার্থীরা যাতে প্রচার না করতে পারে তার জন্য সভা মঞ্চ ভেঙে ফেলা কর্মী-সমর্থকদের ওপর আক্রমণ ভয়ভীতি দেখানো ইত্যাদি লাগাতার চালিয়ে যাচ্ছে।  

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন বিজেপি নিজেদের দেশের সবচেয়ে বড় দল বলে দাবি করে, তাহলে তৃণমূলকে এত ভয় কেন? অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে চুপ করার জন্য সিবিআইসহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলের নেতাদেরকে উঁচু করার জন্য এ ধরনের কাজ করা হয়েছে কিন্তু তৃণমূল তাদের এ ভয় দেখানো তে চুপ থাকেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে তৃণমূল কংগ্রেস ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করবে বলে দাবি করেন।

ভারত সরকারের ঘোষিত অগ্নিপথ কর্মসূচি নিয়ে সারা দেশ উত্তাল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির নেতা কৈলাশ বিজয় বর্গী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাজ্য মন্ত্রী জি কৃষান রেড্ডি সেনাবাহিনী সম্পর্কে কটূক্তি করেছে তাই তাদের নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নিয়ে দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য যুবকদের নিয়ে অগ্নিপথ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।  

এ সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন যারা আন্দোলন করছে তাদের সংযত থাকা উচিত। নিজের দাবি আদায়ের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে পারে তবে এভাবে হিংসা ছড়ানোকে তাদের দল সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।