ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

ত্রিপুরায় শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে বিজেপি সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
ত্রিপুরায় শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে বিজেপি সরকার: মুখ্যমন্ত্রী

আগরতলা (ত্রিপুরা): ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার ত্রিপুরায় শিল্পবান্ধব নীতি প্রণয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা।  

শনিবার (২০ আগস্ট) বোধজংনগর ইন্ডাস্ট্রিয়েল কমপ্লেক্সের মালিক পক্ষের নানা সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনতে গিয়ে তথ্য জানান তিনি।

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আত্মনির্ভর ত্রিপুরা ও আত্মনির্ভর ভারত গড়তে হলে উৎপাদিত পণ্যের রফতানি বাড়াতে হবে। আগের তুলনায় বর্তমান সরকারের সময় ত্রিপুরা রাজ্যে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীর রফতানি অনেক বেড়েছে। রাজ্য সরকার ‘ত্রিপুরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন স্কিম-২০২২’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এর ফলে রাজ্য ও বহিঃরাজ্যের শিল্প উদ্যোগীরা ত্রিপুরায় বিনিয়োগ করতে অনেক বেশী উৎসাহিত হচ্ছে। সরকার বোধজংনগর ও আরকে নগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য কাজ করছে।
 
ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলার পার্শবর্তী জোড়া শিল্পতালুক হচ্ছে বোধজংনগর এবং আর কে নগর ইন্ডাস্ট্রিয়েল কমপ্লেক্স। পৃথক এ দুটি শিল্প তালুকে বাঁশ প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে মাঝারি আকারের শিল্প খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ইত্যাদি রয়েছে। এ দুটি শিল্পকেন্দ্রের শিল্প উদ্যোগীরা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান। তাদের সমস্যার বিষয়ে খোঁজ নিতে প্রথম বারের মতো ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা নিজে শিল্পাঞ্চলে ছুটে যান এবং কথা বলেন মালিক পক্ষের সঙ্গে।

বোধজংনগরে কারখানার মালিকদের নিয়ে একমত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় এক একজন কারখানা মালিক তাদের নিজ নিজ সুবিধা-অসুবিধার কথা তোলে ধরেন। সব শেষে মুখ্যমন্ত্রী তার অভিমত বক্তব্য আকারে তোলে ধরেন।  

তিনি বলেন, রাজ্যে আগের তুলনায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে। চাহিদা বেড়েছে গ্যাস ও বিদ্যুতের। শিল্প উদ্যোগীদের এ দুটি সমস্যা নিরশনে জন্য সরকার চেষ্টা করছে। ২২দশমিক ০১ কোটি রুপি ব্যয়ে ‘প্রধানমন্ত্রী গতিশক্তি’ স্কীমে শিল্পের বিদ্যুৎ সমস্যা নিরসনে প্রস্তাব রয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী শিল্প উদ্যোগীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সুবিধা-অসুবিধাগুলো সম্পর্কে অবহিত হন এবং এই কমপ্লেক্স এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নতি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিটগুলোর নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন।  

বোধজংনগরের বাঁশ ভিত্তিক একটি কারখানায় উৎপাদিত বাঁশের ফ্লোর টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে ভারতের নবনির্মিত পার্লামেন্ট হাউসে- এ তথ্য জেনে খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কিছু কারখানা ঘুরে দেখেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।