ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সৌদি আরব

বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স-শিক্ষক নেবে সৌদি আরব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স-শিক্ষক নেবে সৌদি আরব

ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার-নার্স ও শিক্ষক নেবে সৌদি আরব।

দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ বৈঠকের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠক শেষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন এ কথা জানান।



তিনি বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডাক্তার-নার্স ও শিক্ষক নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। গত অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে তিন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। বৈঠকে আমরা সৌদি আরবকে এদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। বলেছি, তারা বিনিয়োগ করলে ইকনোমিক জোন করে দেওয়া হবে। এছাড়া দেশটিতে বাংলাদশ থেকে ডিউটি ফ্রি পোশাক, চামড়া, চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দিয়েছি। তারা এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে ওমরা ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে সৌদি সরকার। এ ভিসা খুলে দিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এ বিষয়ে সৌদি আরবের শ্রম উপমন্ত্রী ড. আহমেদ বিন ফাহাদ আল ফুয়াইদ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা দেশে গিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।

বৈঠকে সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির শ্রম উপমন্ত্রী ড. আহমেদ বিন ফাহাদ আল ফুয়াইদ এবং বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।

এদিকে বৈঠকের প্রথম দিন বুধবারও (১৮ নভেম্বর) ওমরা ভিসা ফের চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আরও শ্রমিক নেওয়াসহ ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়া হয় সৌদি আরবকে। এরমধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয় প্রতিনিধি দল।

সভায় অংশ নেওয়া দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানায়।

জনশক্তি রফতানি, কর্মসংস্থান এবং প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সালে ২১৭ জন শ্রমিক পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজার খোলে সৌদি আরব। ক্রমেই এ বাজার বড় হতে থাকে।

এক পর্যায়ে দেশটিতে প্রতি বছর দেড় থেকে দুই লাখ শ্রমিক পাঠাতো বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৮ সালে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার লোক কাজের সন্ধানে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পায়।

এরপর তা কমতে থাকে। চলতি বছর প্রায় ৩৭ হাজার লোক নিয়েছে সৌদি আরব। যাদের অধিকাংশই নারী গৃহকর্মী।

বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক সৌদি আরবে কর্মরত আছেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে এসব শ্রমিকের অধিকার ঠিকভাবে রক্ষা করা হয় না।

প্রথম দিনে বৈঠক শেষে ইআরডি’র দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার হওয়ায় জনশক্তি-সংক্রান্ত ইস্যুকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। বৈদেশিক সাহায্যসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এছাড়া আলোচনায় বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে অশুল্ক বাধা দূর, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ, এলডিসি দেশ হিসেবে শুল্ক সুবিধা দেওয়া ইত্যাদি বিষয় স্থান পেয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দশম যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দুই দিনব্যাপী যৌথ কমিশনের ১১তম এ বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করবে ইআরডি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এমআইএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সৌদি আরব এর সর্বশেষ