লাউয়াছড়া থেকে: সাত রঙের চা তৈরি করে তাক লাগিয়েছেন আগেই। সেটা একযুগ আগের কথা।
সদালাপি গৌরাঙ্গ বৈদ্য ১২ বছর ধরে সাত রঙের চা তৈরি চলেছেন শ্রীমঙ্গল শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরের লাউয়াছড়া অভয়ারণ্যের বিট অফিস সংলগ্ন টিলায়। তার সে চায়ের রহস্য পাঠক জেনেছেন আগের স্টোরিতে।
সেদিন চা তৈরি বিশেষ সংরক্ষিত ঘরে বসে জানালেন তার নতুন উদ্যোগের কথা।
আমার এখানে প্রতিদিন অসংখ্য নতুন পর্যটক আসেন। বিদেশিরাও আসেন অনেকে। তাদের নতুন কিছু দিতে চাই। অনেকদিন ধরে ভেবে বের করলাম চা যদি পারি তাহলে সাত লেয়ারের জুসও করতে পারবো। চেষ্টা করতে তো সমস্যা নেই। বছরখানেক ধরে ভাবনার পর অবশেষে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। বলছিলেন গৌরাঙ্গ।
সাত লেয়ারের জুস নিয়ে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সেরে ফেলেছেন এরইমধ্যে। সিলেট-শ্রীমঙ্গলে যেসব ফল জন্মে সেসব ফল দিয়েই হবে সাত রঙের সাত লেয়ারের এ জুস। দাম হবে ১০০ টাকা।
জুসের উপকরণে প্রাধান্য দিয়েছেন বারমাসী ফলকে। এছাড়া সিজনাল সব ফল থাকবে। কখনও মিক্সড কখনও একটি ফলে একটি লেয়ার তৈরি হবে। যেহেতু প্রতিটি ফলেরই নিজস্ব একটি রং রয়েছে সেজন্য স্বাভাবিকভাবেই এটি হয়ে যাবে সাত রঙের।
গৌরাঙ্গ আরও জানালেন তেঁতুল, শ্রীমঙ্গলের কয়েক ধরনের লেবু,কমলা, মাল্টা আনারস, পেঁপে, আখ, তরজমুজ, বেল, পেয়ারা, আম, লিচু, লটকন, জাম, আমড়া, কাঁঠাল, চাম কাঁঠাল, আম দিয়েই মূলত তৈরি হবে তার নতুন উদ্ভাবন সাত লেয়ারের জুস।
ঈদ একটি বড় উৎসব। আর এ সময় লাউয়াছড়ায় প্রতিদিন কয়েক হাজার পর্যটক আসেন। আর পর্যটকরা প্রতি মুহূর্তেই সবকিছুতে নতুন স্বাদ চায়। সে কথা মাথায় রেখে আসছে কোরবানি ঈদে সবার জন্য উন্মুক্ত করতে চান তার নতুন গবেষণার ফল।
বিশ্বের অনেক দেশে লেয়ার জুস পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে এটিই হবে প্রথম।
ভরা যৌবনে বন্ধুর সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, এমন চা বানাবেন যে সবাই সেটা মনে রাখবে। সে চ্যালেঞ্জে জিতেছেন এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার চ্যালেঞ্জ নিজের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
এএ/
** সবুজের বুক চিরে চেনা নতুন শ্রীমঙ্গল
** সাদা-কালো নাগা মরিচে গিনেস রেকর্ডের ঝাল
**তবু থেকে যায় সাতরঙা চায়ের রহস্য
**রাতদুপুরে সবুজবোড়ার রাস্তা পারাপারের দুঃখ
**পর্যটকবান্ধব নয় সিলেট-শ্রীমঙ্গলের ট্রেন
**চুলা নেই পূর্বাঞ্চলের কোনো ট্রেনের ক্যান্টিনে