কাছাড়িয়া হাওর, সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জ শহর থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। সুরমা ব্রিজ পেরিয়ে উত্তরে এগিয়ে পশ্চিমে মোড় নিলে দু’পাশে শুধু বিল আর হাওর।
হাওরের শিশুদের শৈশব। যেসময় বই-খাতা নিয়ে যাওয়ার কথা স্কুলে কিংবা দাওয়ায় বসে আওড়ানোর কথা বর্ণমালা, সেসময় জাল নিয়ে হাওরের হাঁটুজলে কাটছে তাদের। অভাব কিংবা প্রকৃতির গার্হস্থ্য আচরণ তাদের সঙ্গী।
কচুরিপানা ফুল। হাওরজুড়ে বর্ষায় ভেসে বেড়ে কচুরিপানার বাদা। হালকা আকাশি রঙের মনোলোভা ফুল মন মেলায় আকাশপানে। সবে ফোটা শুরু হয়েছে। ক’দিন বাদেই হাওর ভরে উঠবে এ ফুলের মেলায়।
পানিতে বিপন্ন নিজের জীবন। তবু মাঝে দাঁড়িয়ে ডালপালা মেলে হাওরের অভ্যর্থনা জানাচ্ছে গাছটি। প্রাণহীন হয়েও সৌন্দর্যে ফিরিয়েছে যেন নতুন প্রাণ।
হাওর সাধারণত ছয়মাস থাকে পানির নিচে, ছয়মাস মোটামুটি অংশজুড়ে শুকনো। এ মন্দিরটি বর্ষায় ডুবে গেছে। শুকনো মৌসুমে চলবে আবার পূজা অর্চনা।
এখনও মাছ ধরার অনুমতি আসেনি কাছাড়িয়া হাওরে। ইজারাদাররা মাছ ধরা শুরু করবে আরও পরে। বর্ষায় মাছ বাড়ে দ্রুত। সময় না হলেও শেষ বিকেলে ধরা চলছে মাছ।
যে হাওরের পানির ঢেউ বাজারের মাছ বাজারে এসে লাগে সে বাজারেই দেখা মেলে না হাওরের মাছ। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়া দখল করেছে কাছাড়িয়ার এ বাজার। পুরো বাজার ঘুরে এক জায়গায় দেখা মিললো হাওরের জ্যান্ত ট্যাংরা, পুঁটি, শিং, মাগুর।
ট্রলারের মটকায় বসা তিন শিশুর হাওরের মাঝের গ্রাম শান্তিপুরে যাওয়ার অপেক্ষা।
যাত্রীর পাশাপাশি মালটানা নৌকাটি চলছে ঘটঘটিয়া নদী দিয়ে। মাঝে শান্তিপুর গ্রাম। এপাশে কচড়া, ওপাশে সোনার হাওর।
চলবে…
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এএ
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-২
** হাওরের হাঁসে হাসি
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-১
** মায়ার বাঁধনে মায়া, সঙ্গী জেমস-মনা
** এবার আসছে গৌরাঙ্গের সাত লেয়ারের জুস
** সবুজের বুক চিরে চেনা নতুন শ্রীমঙ্গল
** সাদা-কালো নাগা মরিচে গিনেস রেকর্ডের ঝাল
** তবু থেকে যায় সাতরঙা চায়ের রহস্য
** রাতদুপুরে সবুজবোড়ার রাস্তা পারাপারের দুঃখ
** পর্যটকবান্ধব নয় সিলেট-শ্রীমঙ্গলের ট্রেন
** চুলা নেই পূর্বাঞ্চলের কোনো ট্রেনের ক্যান্টিনে