বিছানাকান্দি (সিলেট) ঘুরে: দুধসাদা মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছে পাহাড়কে। পাহাড় থেকে প্রবল স্রোতে পড়ছে স্বচ্ছ জলরাশির ঝরনা, আর সেই জলরাশি মিশে যাচ্ছে নদীতে।
মেঘ-পাহাড়-ঝরনা-নদীর এমন মিতালি দেখা যায় উত্তর-পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেঁষা পানতুমাইয়ে। এই মিতালিতে একে অপরের রূপ যেন উদ্ভাসি করে চলেছে অনিন্দ্যসুন্দর প্রতিযোগিতায়।
সিলেটের বিছানাকান্দির পিয়াইন নদীর তীর ঘেঁষে মুগ্ধতার পানতুমাই। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের পানতুমাইয়ে দেখা মিললো দর্শনার্থীদের ভিড়ের। স্থানীয়রা বলছেন, প্রচার বাড়ছে বলে এই পানতুমাই দেখতে ভিড়ও বাড়ছে ক্রমে।
মো. শামীম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, প্রতিদিন এখানে কয়েকশ’ লোক আসেন পানতুমাই ঝরনা দেখতে। এ ঝরনায় সবসময় পাহাড়ি ঢলের পানি আসে। পানির নেমে আসার সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে রাখে পানতুমাই।
বিছানাকান্দির হাদার বাজার থেকে বেশ খানিকটা পথ পাড়ি দিয়ে পানতুমাই যেতে হয়। বর্ষা মৌসুমে স্রোতের প্রভাব বেশি থাকায় পানতুমাইয়ের রূপ বেড়ে যায় বলে যানবাহনের ভাড়াও হয়ে যায় অতিরিক্ত।
সিলেট নগরী থেকে ৬২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের প্রতাপপুর সীমান্তে এই পানতুমাই গ্রাম। পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে গড়ে ওঠা গ্রামটিও মুগ্ধ করবে যে কাউকে।
আঁকাবাঁকা রাস্তা পাড়ি দিয়ে পানতুমাই ঝরনায় পৌঁছাতে হয়। এর কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে লাকাট হাট। ভারত সীমান্তের এ হাটে বাংলাদেশিরাও অবাধে বেচাকেনা করতে পারেন।
তবে হাট সপ্তাহের কোন দিনে বসবে তা নির্ধারিত নয়, যেদিন সীমান্তের লোকেরা হাট বসাবেন, সেদিনই হাটে বেচাকেনা হবে।
হাদার বাজার থেকে পানতুমাই ঝরনায় যাওয়ার একমাত্র বাহন ইঞ্জিনচালিত নৌকা। পানতুমাই যেতে (নদীতে স্রোত থাকলে) লাগে প্রায় এক ঘণ্টা, আর স্রোত না থাকলে ৩০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছানো যায় সিলেটের স্বর্গ খ্যাত পানতুমাইয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এসএম/এইচএ/
**বিছানাকান্দির জলের ওপর ‘জলপরী’
** ডুবে ডুবে ঘাসও খায় তারা
**ছয় মাস কৃষক, ছয় মাস বেকার
** বর্ষায় মাঝি, শুকনায় রাজমিস্ত্রি
** পানি নয়, সাতছড়ির ছড়ায় এখন শুধুই বালু
**প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য অনন্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
** ভাড়াউড়া লেকের সৌন্দর্যে কালো মেঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা
**লাউয়াছড়ায় ১৫ হেক্টরের মধ্যেই দর্শনার্থী সীমাবদ্ধ
**লাউয়াছড়ায় অর্থকরী ফসলের আত্মকথা
**নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন মিহির কুমার দো