কাছাড়িয়া হাওর, সুনামগঞ্জ থেকে: সুনামগঞ্জ শহর থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। সুরমা ব্রিজ পেরিয়ে উত্তরে এগিয়ে পশ্চিমে মোড় নিলে দু’পাশে শুধু বিল আর হাওর।
প্রস্থে মাত্র ১৫ থেকে ২০ ফুট জায়গা। এর মধ্যেই ঘর-টুকটাক আবাদ, গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থা। বর্ষায় হাওরের অবস্থা দাঁড়ায় এমন। এরমধ্যে প্রতিদিন লড়াই করতে হয় ভাঙন ঠেকাতে। এমন ছোট্ট ছোট্ট দ্বীপঘর নিয়ে নিয়ে ৭০ পরিবারের গ্রাম শান্তিপুর। পাশে বয়ে চলেছে ঘটঘটিয়া নদী। পেছনে সোনার হাওর। সামনে নদীর সঙ্গে মিলে কচড়া হাওর।
নদী বেয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি। জাল নিয়ে গন্তব্যে ছুটেছেন জেলেরা।
শান্তিপুর গ্রামে একটি টিউবওয়েল। সারাক্ষণ গ্যাসের বুদ কাটে, শব্দ হয়। পাইপ চলে গেছে ১৫০ ফুট গভীরে ছোট্ট এ দ্বীপে তবু মেলে না মিষ্টি পানি।
এই শিশুটির নির্মল হাসিই যেন শান্তিপুর গ্রামের একমাত্র শান্তি। গ্রামের প্রতিটি মানুষ বেঁচে আছে সংগ্রাম করে। পানি, খাবার, ভাঙান, ঘর-বাড়ি সবকিছু নিয়েই অশান্তি। শিশু জুলহাস সাদা ভাত আর লবণ পেয়েই খুশি। গোটা শান্তিপুর গ্রাম যেন এ শিশুটিই।
১০-১৫ ফুটের এক চিলতে জায়গাই এই শিশুদের খেলার মাঠ। এটুকু জায়গা নিয়ে আক্ষেপ নেই তাদের। চারদিকে হাওরের বিশালতা তাদের ভাবনার জায়গাটাকে হয়তো করে দিয়েছে বড়।
দেখে মনে হচ্ছে কোনো নতুন নির্মাণ কাজ চলছে কোনো স্থাপনার। বিষয়টি আসলে তা নয়। এর একটি শ্মশান। হাওরে এ রূপের শ্মশান ছাড়া উপায় নেই কোনো। পাশেরটি পূজা অর্চনার জায়গা।
হাওরের স্কুল। এক দ্বীপ থেকে আরেক দ্বীপে যেতে হয় নৌকায় করে। এটি বাহাদুরপুর গ্রাম। নৌকায় শিক্ষার্থীদের ভাড়া গুনতে হয় পাঁচ থেকে ১০ টাকা।
নৌকা। হাওরের জীবন।
** ছবিতে হাছন রাজার স্মৃতিবিজড়িত বসতবাড়ি
**‘কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যের মাঝার’
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-৩
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-২
** হাওরের হাঁসে হাসি
** কাছাড়িয়া হাওরের পথে পথে-১
** মায়ার বাঁধনে মায়া, সঙ্গী জেমস-মনা
** এবার আসছে গৌরাঙ্গের সাত লেয়ারের জুস
** সবুজের বুক চিরে চেনা নতুন শ্রীমঙ্গল
**নাগা মরিচের আরও ছবি
** সাদা-কালো নাগা মরিচে গিনেস রেকর্ডের ঝাল
** তবু থেকে যায় সাতরঙা চায়ের রহস্য
** রাতদুপুরে সবুজবোড়ার রাস্তা পারাপারের দুঃখ
** পর্যটকবান্ধব নয় সিলেট-শ্রীমঙ্গলের ট্রেন
** চুলা নেই পূর্বাঞ্চলের কোনো ট্রেনের ক্যান্টিনে
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এএ