সিলেট থেকে: ঐতিহ্যে ভরপুর সিলেট। ঐতিহাসিক মূল্য ও পর্যটক আকর্ষণের কারণে এখানকার স্থানগুলোর প্রচার, সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বড় ধরনের একটি বেসরকারি উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে।
তবে কয়েক বছর আগে থেকে সিলেটে বেসরকারিভাবে ‘সেভ দ্য হেরিটেজে অ্যান্ড এনভারনমেন্ট’ নামে একটি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। তারা মূলত জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসকি স্থাপনা এবং ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি-পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন ও সচেতনতা ক্যাম্পেইন করেছে। সিলেটের ২১টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে তাদের একটি গবেষণাধর্মী বই।
এবার ঢাকা থেকে বৃহত্তর সিলেটের ২৯টি হেরিটেজ নিয়ে বৃহত্তর সিলেটবাসীদের সংগঠন জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের প্রাথমিক তালিকায় হেরিটেজের মধ্যে হজরত শাহজালাল মাজার, শাহপরান মাজার, হবিগঞ্জের সিপাহশালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিন মাজার এলাকা, গোলাপগঞ্জের শ্রী চৈতন্যদেবের পিতৃভূমি, জৈন্তার মেঘালিথিক পাথর, জৈন্তিয়া রাজবাড়ি, আফগান এবং মুঘলদের মধ্যে যুদ্ধের স্থান দুলম্বপুর, হবিগঞ্জের শংকর পাশা মসজিদ, পাতারকান্দির রাজা প্রতাপ সিংহের এলাকা, ১৪৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত খোজা মসজিদ, মৌলভীবাজার, সিলেটের আলী আমজাদের ঘড়ি, হরিপুর এবং দরবস্তের মাজার, চুনারুঘাট মাজার, তেলিয়াপাড়া বাংলো, পুলছড়া চা বাগান বাংলো, জকিগঞ্জের ড. জিসি দেব রাজবাড়ি, চাতলাপুর চা বাগানের দ্বিতল বাংলো কানাইঘাটের লোভাছড়া চা বাগান জুড়ির ফুলছড়া চা বাগান বাংলো।
প্রাকৃতিক হেরিটেজগুলোর মধ্যে রয়েছে, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর, হাকালুকি হাওর, জলারবন রাতারগুল ও লাউড়াছড়া।
সাংস্কৃতিক হেরিটেজের মধ্যে রয়েছে, সুনামগঞ্জে হাছন রাজার বাড়ি, রাধারমন, শাহ আবদুল মরিম, জকিগঞ্জে শিতালং শাহের স্মৃতি। এছাড়া সিলেট নাগরী এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্রাম বানিয়াচং।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জগলুল পাশা বাংলানিউজকে জানান, বৃহত্তর সিলেট বিভাগের যা ঐতিহ্য আছে তা তুলে ধরা, রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া এবং প্রিজারভেমনের লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ করবেন। এজন্য জালালাবাদ ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও প্রচারণা কমিটি গঠন করা হয়েছে। যেখানে ১৩ জন সদস্য রয়েছেন।
সোহেল আহমদ চৌধুরীকে চেয়ারম্যান এবং সি কিউ কে মুসতাক আহমদ ও জালাল আহমদকে কো-চেয়ারম্যান করে গঠিত এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক, স্থপতি ও নির্মাতা শাকুর মজিদ, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর ফাতেমা চৌধুরী। এছাড়াও জালালাবাদের সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জগলুল পাশা, সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সদস্য মাহ্মুদা আখতার মীনা ও সাহাবুদ্দিন শুভ রয়েছেন কমিটিতে।
সৈয়দ জগলুল পাশা বলেন, তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সিলেটের ঐতিহ্যময় স্থানগুলোর প্রচার-প্রসার করতে পৃথক ওয়েবসাইট তৈরি এবং বিভিন্ন প্রকাশনা বের করতে চাই।
সংগঠনটির উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্থপতি ও গবেষক আইনজীবী, সাংবাদিক রয়েছেন। সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রধান সমন্বয়ক গবেষক আবদুল হাই আল হাদী বাংলানিউজকে জানান, সিলেটের প্রত্নতাত্ত্বিক নামে ২১টি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নিয়ে গবেষণাধর্মী একটি বই প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে।
** শীতল পাটির কারুশিল্পী অরুণের করুণ কথা
** যেভাবে তৈরি হয় শীতল পাটি
** সিলেটে রেলের সেই সুদিন ফিরবে কি!
** উপমহাদেশের প্রথম চা বাগানে
** ঢাকা-সিলেট: চারলেনের অপেক্ষায় সিলেটবাসী ও পর্যটক
** দুই কারণে সাতছড়িতে ঝুঁকিতে বন্যপ্রাণী
** ট্রেইলে নয় ওয়াচ টাওয়ারে সাতছড়ি দর্শন
** বাসে বিমানের ছোঁয়া!
** এসি বাস নেই সিলেট রুটে!
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এসএ/আইএ