ঢাকা: টি হ্যাভেন রিসোর্টের রিসেপশনে বসলে দেখা যাবে সেলফে সাজানো বই। এটি তালাবদ্ধ কোন সেলফ না।
রিসোর্টের ডিরেক্টর আবু সিদ্দিক মুসা তার অমায়িক হাসি ছড়িয়ে বললেন, বেড়াতে কিংবা কাজে কোথাও যাওয়ার পর, যে অবসরটুকু মেলে তখন একটা বইয়ের খুব প্রয়োজন হয়। আর ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সেই বইটির কথাই সবাই ভুলে যায়। এই জন্যই বইয়ের ব্যবস্থা। বোর্ডাররা রুমে নিয়েও পড়তে পারেন। চলে যাওয়ার সময় ফিরিয়ে দিলেই হলো।
টি হ্যাভেন রিসোর্ট চালু হয়েছে বেশি দিন হয়নি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এখনও বাকি। এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের এই টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
হবিগঞ্জ রোড ধরে শ্রীমঙ্গল শহরে ঢোকার আগেই এই রিসোর্ট আপনার দৃষ্টি কাড়বে। এর দৃষ্টিনন্দন আয়োজনের জন্যই।
শ্রীমঙ্গলের রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট আগে থেকই একটি পরিচিত নাম। ফল-ফলাদির গাছ ঢাকা মনোরম ডুপ্লেক্স এই রিসোর্টটির মালিক পক্ষ ঠিক তার পাশেই গড়ে তুলেছেন এই টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
একটিতে খুব চাপ পড়ে যায় সে কারণেই দ্বিতীয়টি নির্মাণ, বললেন আবু সিদ্দিক মুসা। তার মতে মানুষ যেখানে সেবা পায় সেখানেই বারবার যেতে চায়, আর সেই সেবা দিয়েই মানুষের ভালোলাগা অর্জন করেছ টি হ্যাভেন রিসোর্ট।
সেবার পাশাপাশি এর খরচটি অন্য অনেক সমমানের রিসোর্টের চেয়ে কম। পর্যটকরা যখন বেড়াতে আসেন তখন তাদের কাছে এই খরচের বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আবু সিদ্দিক মুসা জানালেন, একসঙ্গে ৬৮ জন বোর্ডার থাকতে পারেন। ভাড়া দুই হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায়।
আর খরচের চেয়েও তারা বেশি চান সেবা। টি হ্যাভেন রিসোর্টে আমরা দুইয়েরই সমন্বয় ঘটাতে পেরেছি। এটাই আমাদের অন্যতম দিক, বলেন আবু সিদ্দিক মুসা।
এই রিসোর্টের রয়েছে বিশাল কনফারেন্স রুম। যেখানে কনফারেন্সের জন্য সব ইন্ট্রুমেন্ট বিনামূল্যে দেয়া হয়। সে কারণে কর্পোরেট ট্যুরিস্টদের নজর কেড়েছে টি হেভেন রিসোর্ট। আধুনিক কনফারেন্স হলের সবল সুবিধা এতে বর্তমান। দেড় শতাধিক আসন সংখ্যা। আর সুপ্রশস্ত খোলামেলা এই কক্ষ। আছে ফ্রি ওয়াইফাই ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি।
রিসোর্টের কক্ষগুলোর নাম আকর্ষণীয়। তিনটি এক্সিকিউটিভ রুম হামহাম, ছায়াবৃক্ষ আর ক্যামেলিয়া। এর বাইরে ফ্যামেলি ডিলাক্স, টুইন শেয়ার, কাপল ডিলাক্স রুম আছে। প্রত্যেকটি রুমের সঙ্গে রয়েছে লাগোয়া বারান্দা।
রিসোর্টটির চতুর্থ তলায় রয়েছে বিশাল রেস্টুরেন্ট এবং ডাইনিং স্পেস। পর্যটকদের পছন্দমতো খাবার সরবরাহ করে টি হ্যাভেন রিসোর্ট। তবে সে খাবার অনেকটাই দেশি ধাচের ও স্বাদের।
এখান থেকে শ্রীমঙ্গলের অপরূপ দৃশ্যগুলো চোখে পড়ে। একদিকে হাইল হাওর দিগন্ত বিস্তৃত পানি, অন্যদিকে চা-বাগান আর দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ।
শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য পর্যটকদের দেখার সুযোগ করে দিতে টি হ্যাভেন রিসোর্টের রয়েছে গাড়ির সার্ভিস। শীত মৌসুমে বাইক্কা বিল সহ দর্শনীয় স্থানে পর্যটকরা এই গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৬
এমএমকে
** হাজার বছরের সংগ্রহ নিয়ে সিলেটের জাদুঘর এখনও অন্তরালে
**ওয়ার্ল্ড হেরিটেজে যেতে পারে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস
** শ্রীমঙ্গলের প্রথম পছন্দ শ্রীমঙ্গল ইন
** সিলেটের হেরিটেজ নিয়ে যত উদ্যোগ
** শীতল পাটির কারুশিল্পী অরুণের করুণ কথা
** যেভাবে তৈরি হয় শীতল পাটি
** সিলেটে রেলের সেই সুদিন ফিরবে কি!
** উপমহাদেশের প্রথম চা বাগানে
** ঢাকা-সিলেট: চারলেনের অপেক্ষায় সিলেটবাসী ও পর্যটক
** দুই কারণে সাতছড়িতে ঝুঁকিতে বন্যপ্রাণী
** ট্রেইলে নয় ওয়াচ টাওয়ারে সাতছড়ি দর্শন
** বাসে বিমানের ছোঁয়া!
** এসি বাস নেই সিলেট রুটে!