ঢাকা: উত্তরবঙ্গ যাত্রাকালে সড়ক পথে যাত্রীদের কাছে অতি পরিচিত রেস্তোরাঁর নাম ‘ফুড ভিলেজ’। এই রেস্তোরাঁর পরিবেশ ও সেবার মান নিয়ে বাংলানিউজ গত ৩১ জুলাই ভোরে একটি সংবাদ প্রকাশ করে।
‘ফুড ভিলেজ যেন লঙ্গরখানা !’ শিরোনামে সংবাদটি দৃষ্টিগোচর হলে রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষ বাংলানিউজের কাছে ভুল স্বীকার করে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ফুড ভিলেজ’র জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম সলিম।
গত সোমবার (১ আগস্ট) স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ফুড ভিলেজ নিয়ে আপনাদের প্রকাশিত বার্তাটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। বার্তাটিতে সেবার মান নিয়ে মূল্যবান মতামত ও সু-পঠিত ছন্দময় লেখাকে আমরা স্বাগত জানাই। এজন্য ফুড ভিলেজ কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছে। ফুড ভিলেজে আগত প্রতিটি অতিথির অভিযোগ, মতামত ও উপদেশ আমরা গুরুত্বের সাথেই গ্রহণ করি এবং সেবা ও খাদ্যের মান সম্পর্কে ভুলভ্রান্তিগুলো সংশোধন করে থাকি। সে অর্থে আপনাদের মূল্যবান বার্তাটিও আমাদের উৎসাহিত করেছে।
ফুড ভিলেজ লি. হাইওয়ে ভিত্তিক রেস্তোরাঁ হওয়ায় দূর পাল্লার বাস/কার সমূহ না আসা পর্যন্ত শেষরাত অবধি খোলা রাখতেই হয়। সিডিউল মোতাবেক সবগুলো গাড়ি আসে ভোর ৫টা নাগাদ। আর যানজট থাকলে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। ৩০ জুলাই শনিবার জানজটের কারণে আমাদের গ্রাহক সেবা বিঘ্নিত হয়। কেননা, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী এবং উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী গাড়িগুলো একই সঙ্গে এসে সেবা গ্রহণের জন্য ফুড ভিলেজে আসে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে সঠিক গ্রাহক সেবা প্রদান একেবারেই কষ্টকর হয়ে উঠে। তখনই অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়।
বার্তায় উল্লেখিত দিনে ও সময়ে সঠিক সেবা প্রদানে অপারগতায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। যেহেতু ফুড ভিলেজ খাদ্য ও সেবার মানে আপোষ করে না, সেহেতু সকল অতিথিদের আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, বার্তাটি আবারো আমাদের নতুন করে জানান দিল।
বগুড়ার শেরপুরের ধানকুন্ডি নামক স্থানে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ হাইওয়ের পাশেই ‘ফুল ভিলেজ’ রেস্তোরাঁ অবস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৬
ইইউডি/এটি