খাগড়াছড়ির পথে: ঝরে পড়া শিউলি ফুল আর ভোরের প্রকৃতি ঘিরে রাখা কুয়াশার দল বলে দিচ্ছে চিত্রটা শরতের সকালের। তবে গত কয়েকদিনের ‘বেমানান’ বিরূপ আবহাওয়া প্রকৃতিতে মেঘের বিচরণ বাড়িয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে খানিকটা বেশি।
চট্টগ্রামের পথে ইউ-এস বাংলার ফ্লাইট উড়াল দিতেই উল্টো দিকে যেন ঠেলে দিচ্ছিল মেঘ। খানিক বাদে চোখের সামনে যে চিত্র ধরা দিলো তা কেবল শরতের মেঘের বিচিত্র রূপ। যা পলকেই যে কাউকে বিমোহিত করে।
উড়ন্ত অবস্থায় যখন মেঘের উপর চড়ে বসলাম ঠিক তখনই চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো বিচিত্র রূপের মেঘের ওড়াউড়ি। কোথাও মনে হচ্ছে আপন রেখায় ছুটে চলেছে মেঘের সমুদ্র!
জানালা দিয়ে নিচে তাকাতেই কোথাও বা মনে হলো মেঘের বাগানের ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে সাদা বক। কোথাও মেঘের দল একে অপরের গায়ে জড়িয়ে ধরে পেছনের দলকে আহ্বান জানাচ্ছে।
একদল মেঘ যখন এ দিকটায় লুটোপুটি করছে অন্যদিকে তখন মনে হলো হাতে হাত ধরে কিছু একটা ঘিরে রেখেছে একদল মেঘ। আর তার মাঝখানে ‘শূন্যস্থান’টাকে মনে হলো গিরিখাদ, এই বুঝি পড়ে যাওয়ায় ভয়।
চারিদিকে মেঘেদের ঘুরপাকে একটা সময় মনে হলো উপগ্রহ থেকে দেখা কোনো ঘূর্ণিঝড়ের চিত্র। যা হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যে আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এসব দেখতে দেখতে চট্টগ্রামের সবুজ ভূমি যখন অবতরণের জানান দিচ্ছে তখন ফেলে আসা মেঘের দল পেছনের যাত্রীদের স্বাগত জানাতে হয়ত সামনের দিকে ছুটে যাচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
জেডএস/আইএ