খাগড়াছড়ি থেকে: পর্যটন মৌসুম শুরু হয়েছে। তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান এখন পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তিন পার্বত্য জেলায় হরতাল। চট্টগ্রাম থেকে মাইক্রোবাস যোগে খাগড়াছড়ি ঢোকার মুখে জিরো মাইল এলাকায় মাইক্রোবাস থামালো পুলিশ। কাছে এসে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আব্বাস জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কোথায় যাবেন? উত্তরে বলা, আমরা বাংলানিউজের সাংবাদিক। তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন নিয়ে নিউজ করতে এসেছি।
তিনি বললেন, অন্য সময় কোনো অসুবিধা হয় না। তবে হরতাল চলছে তো। পথে কেউ ধরলে বলবেন, পর্যটক। তাহলে কোনো অসুবিধা হবে না।
তখন গভীর প্রশ্ন নিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নেমে পড়া। আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, পাহাড়িরা এখন পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত। পর্যটন শিল্পের বিকাশ তারাও চান। হরতাল অবরোধ যাই থাকুক না কেন, পর্যটকদের গাড়ি কেউ আটকায় না।
তিনি আরও জানান, হরতালে সাধারণ কোনো যানবাহন চলে না। তবে পর্যটকবাহী ৮/১০টি মাইক্রোবাস ও একটি বাস শহরে ঢুকেছে। হরতালকারীরা তাদের গতিরোধ করেননি।
খাগড়াছড়ি পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট ইন্টিলিজেন্স অফিসার -১ (ডিআইও ১) আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, শুধু দেশি পর্যটক নয়। বিদেশি পর্যটকদের তারা ব্যাপক নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ইউএনডিপি, এনজিও, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের মাধ্যমে বিদেশিরা এলে আগেই খবর দেওয়া হয়। আগে থেকে কোনো খবর না পেলেও হঠাৎ কোনো বিদেশি ঘুরতে এলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।
তিনি আরও জানান, বিদেশিরা যে হোটেলে থাকেন সেখানে পোশাকধারী পুলিশ ও সাদা পোশাকের পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
কনস্টেবল ইসমাইল জানালেন, ট্যুরিস্ট গাড়ির নম্বর আমরা লিখে রাখি। ট্যুরিস্ট গাড়ি এক পয়েন্ট অতিক্রম করলে আমরা আরেক পয়েন্টকে ওয়্যারলেসে জানিয়ে দেই। তখন তারাও আরেক পয়েন্টকে জানিয়ে দেয়। ট্যুরিস্ট গাড়ি কোনো দুর্ঘটনায় পড়লে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। এভাবে ট্যুরিস্টদের আমরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৬
এমআই/আরআইএস/আইএ